আষাঢ়ের শুরুতেই আবার ডুবেছে নগর। নিম্নাঞ্চলে জমেছে পানি। কয়েকঘণ্টার বৃষ্টিতে হাঁটু থেকে কোমর পর্যন্ত পানি হয়েছে কয়েকটি প্রধান সড়কেও।
এদিকে বৃষ্টিতে ডুবেছে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর বাড়িও! শনিবার (১৯ জুন) মেয়রের বাড়ির আঙিনাজুড়ে ছিল শুধু পানি আর পানি।
শনিবার সকাল থেকেই নগরে থেমে থেমে বৃষ্টি হয়েছে। কখনও মুষলধারে, আবার কখনও গুঁড়ি গুঁড়ি। সন্ধ্যায় এ প্রতিবেদন লেখার সময়ও আকাশজুড়ে ছিল মেঘ। আরও বৃষ্টির সম্ভাবনার কথা বলা হয়েছে আবহাওয়া অফিসের পূর্বাভাসেও।
দিনভর বৃষ্টিতে নগরের আগ্রাবাদ, বাকলিয়া, চান্দগাঁওসহ নিম্নাঞ্চলে জলাবদ্ধতা দেখা দিয়েছে। অফিসগামী যাত্রীসহ পথচারীদের পোহাতে হচ্ছে ভোগান্তি। কাছের গন্তব্যেও অনেকক্ষেত্রে গুণতে হয়েছে কয়েকগুণ বেশি ভাড়া।
এদিন ২নং গেইট, মুরাদপুর, বহদ্দারহাটসহ নগরের বেশ কয়েকটি প্রধান সড়কে হাঁটু থেকে কোমর পর্যন্ত পানি জমে যায়। জলজট হয় আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালেও। মজার ব্যাপার হলো, শনিবার পানিতে সয়লাব ছিল নগরের বহদ্দারহাটের পানি উন্নয়ন বোর্ডের ‘পানি ভবন’ও!
এদিকে খোদ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের মেয়র মো. রেজাউল করিম চৌধুরীর বহদ্দারহাটের বাড়িও এদিন জলমগ্ন হয়েছে। মেয়রের বাড়ির আঙিনাজুড়ে ছিল জলজট। জলজট দূর করতে তৎপর ছিলেন সিটি করপোরেশনের কর্মীরা।
বিকেলে যোগাযোগ করা হলে ৬নং পূর্ব ষোলশহর ওয়ার্ড কাউন্সিলর ও ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এম আশরাফুল আলম আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, বৃষ্টিতে মেয়র মহোদয়ের বাড়িতে পানি জমে গেছে। পানি সরাতে কাজ করছেন করপোরেশনের কর্মীরা।
তিনি বলেন, আমি এখন এক কিলোমিটার এলাকায় আছি। আমরা আমাদের মতো করে চেষ্টা করছি। ড্রেন দিয়ে কিছু পানি চলে গেলে ওনার (মেয়র) বাড়িতে জলজট কমে যাবে বলে আশা করছি।
জেডএইচ