‘শান্তি ও মানবতার অগ্রদূত ছিলেন শেখ মুজিবুর রহমান’

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এর জুলিও-কুরি শান্তি পুরস্কার প্রাপ্তির ৪৮তম বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস আবুধাবি ইউএই এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকদের অংশগ্রহণে ‘মিট দ্যা প্রেস’ অনুষ্ঠিত হয়।

সোমবার (২৪ মে) দুপুরে দূতাবাস কার্যালয়ে এ সভার আয়োজন করা হয়। এতে দূতাবাস ও দুবাইয়ের কনস্যুলেট জেনারেল এর কর্মকতারা অংশগ্রহণ করেন।

কোভিড-১৯ পরিস্থিতির কারণে যারা সশরীরে অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে পারেননি তারা জুম প্লাটফর্মে এ অনুষ্ঠানে অংশ নেন ।

রাষ্ট্রদূতের স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে শুরু হয় অনুষ্ঠান। এরপর একটি প্রামাণ্য চিত্র প্রদর্শন করা হয়। পরবর্তীতে অংশগ্রহণকারী সংবাদমাধ্যম প্রতিনিধিরা তাদের মতামত ব্যক্ত করেন এবং দূতাবাসের এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান।

রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘জাতির পিতা আজীবন শান্তির জন্য সংগ্রাম করেছেন। তিনি শুধু বাংলাদেশ নয়, বরং আঞ্চলিক ও আন্তর্জাতিক অঙ্গনে শান্তি, মুক্তি ও মানবতার অগ্রদূত ছিলেন।

তিনি বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু ছিলেন বাংলাদেশ ও সারাবিশ্বের সব শান্তিপ্রিয় মানুষের কাছে শ্রদ্ধার পাত্র। তাঁর শান্তিকামী নীতি ও আদর্শের সুবাদে বিশ্বের কাছে বাংলাদেশ আজ শান্তিপ্রিয় দেশ হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে।

‘বঙ্গবন্ধুর এ শান্তিকামী নীতি ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় তাঁর অবদানের আন্তর্জাতিক স্বীকৃতিস্বরূপ বিশ্ব শান্তি পরিষদ ১৯৭২ সালের অক্টোবরে জাতির পিতাকে ‘জুলিও-কুরি’ শান্তি পদকে ভূষিত করেন এবং ১৯৭৩ সালের ২৩ মে ঢাকায় আনুষ্ঠানিকভাবে তাঁকে এ পদক প্রদান করা হয়। এ অর্জন বাংলাদেশের জন্য প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মাননা। এ পদক প্রাপ্তি আমাদের জন্য এক অনন্য ও কালজয়ী অর্জন।

রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, বঙ্গুবন্ধুর দেখানো শান্তির পথেই হাটছে বাংলাদেশ। প্রায় ১২ লক্ষ বাস্তুচ্যুত ও নির্যাতিত রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দান ও মানবিক সহায়তা প্রদান, শান্তিচুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে পার্বত্য অঞ্চলে শান্তিপ্রতিষ্ঠা, পারমানবিক অস্ত্র পরীক্ষার প্রেক্ষিতে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে সমঝোতার উদ্যোগ মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশ্বশান্তি উদ্যোগের উজ্জ্বল উদাহরণ।

তিনি দল-মত নির্বিশেষে সবাইকে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার অর্থনৈতিক ও সামাজিক কর্মসূচিতে সহায়তা করার আহ্বান জানান।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!