ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের ফৌজদারহাট লিংক রোডে অবরোধ ও নৈরাজ্য সৃষ্টির অভিযোগে ২০০ জনের বিরুদ্ধে পৃথক ৬টি মামলা করেছে সীতাকুণ্ড থানা পুলিশ ।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) রাতে সড়কে যানবাহন ভাঙচুর, ককটেল বিস্ফোরণ, পুলিশের ওপর হামলা ও সরকারি কাজে বাধাদানের অভিযোগে এসব মামলা করা হয়।
মঙ্গলবার (২৩ আগস্ট) দুপুরে বিদ্যুৎ ও পানির দাবিতে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বায়েজিদ সংযোগ সড়কে ৬ ঘণ্টা অবরোধ করে জঙ্গল সলিমপুরবাসী। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ বাধে। এসময় পুলিশ ফাঁকা গুলি ও টিয়ার শেল ছুঁড়ে বিশৃঙ্খলাকারীদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
এদিকে আজ (বুধবার) সকালে জঙ্গল সলিমপুর পরিদর্শনে যান জেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, জেলা পুলিশ ও সিএমপির সদস্যরা। এসময় এলাকায় ১৫টি সিসি ক্যামেরা, দুটি নিরাপত্তার চৌকি স্থাপন শুরু করা হয়। এছাড়া ভারি যানবাহন চলাচল রোধে রাস্তায় দেওয়া হচ্ছে ব্লকেজ।
আরও পড়ুন: সীতাকুণ্ডে রাতের আঁধারে শিপব্রেকিং ইয়ার্ড দখল—২ মামলা গড়াল থানায়
এ বিষয়ে সীতাকুণ্ড মডেল থানার ওসি মো. আবুল কালাম আজাদ আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, জঙ্গল সলিমপুরবাসী আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও প্রশাসনের কথায় কর্ণপাত না করে একপর্যায়ে প্রশাসনের ওপর চড়াও হয়। আলীনগরে জেলা প্রশাসনের অভিযানে ক্ষুব্ধ হয়ে সন্ত্রাসী ইয়াছিন বাহিনীর প্রধান ইয়াছিনের ভাই ফারুক পানি-বিদ্যুতের দাবিতে আন্দোলনের সুযোগে সেখানে নিজেদের সন্ত্রাসী বাহিনী ঢুকিয়ে দিয়ে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করে। এসব ঘটনায় ২০০ জনকে আসামি করে পৃথক ৬টি মামলা করা হয়েছে।
সীতাকুণ্ড সহকারী কমিশনার (ভূমি) মো. আশরাফুল আলম বলেন, মঙ্গলবার কিছু দুষ্কৃতিকারীর প্ররোচনায় সড়ক অবরোধ ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়ায় জঙ্গল সলিমপুরের বাসিন্দারা। এরপর আজ (বুধবার) সেখানে ১৫টি সিসি ক্যামেরা স্থাপন ও দুটি নিরাপত্তা চৌকি নির্মাণ ও ভারি যানবাহন চলাচল রোধে ব্লকেজ নির্মাণের কাজ শুরু করা হয়েছে।
তিনি বলেন, গুরুত্বপূর্ণ কর্ণফুলি গ্যাস লাইন রয়েছে এই এলাকায়। এসব লাইনের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে এবং পাহাড় কাটার যন্ত্র, স্কেভেটরসহ অন্যান্য ভারী যানবাহন যেন জঙ্গল সলিমপুরের ভেতরে প্রবেশ করতে না পারে সেজন্য এসব রোডে ব্লকেজ নির্মাণ করা হচ্ছে ।