৬ বছরে ‘হাজার’ মোটরসাইকেল চুরি, চট্টগ্রামে ধরা খেল ‘বড় চক্র’

নগরে আন্তঃ জেলা মোটরসাইকেল চোরচক্রের পাঁচ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। তাদের মধ্যে একজন মিঠন ধর। তার নেতৃত্বে ৬ বছরে হাজার মোটরসাইকেল চুরি করে গ্রেপ্তাররা।

রোববার (২৬ মার্চ) বেলা সাড়ে ১২টায় ডিসি দক্ষিণের কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিং করে এসব তথ্য জানান চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

উপপুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো. মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, গত কয়েক মাসে নগরের বিভিন্ন থানায় ৫০টির অধিক মোটরসাইকেল চুরির অভিযোগ জমা পড়ে। এসব অভিযোগের সূত্র ধরে আমাদের পুলিশ টিম অভিযান শুরু করে। গতকাল সকালে পুরাতন রেলওয়ে স্টেশন সংলগ্ন গ্রামীণ মাঠের পাশ থেকে চক্রের মূলহোতা মিঠন ধর ও বাবর ওরফে বাবুলকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী সন্দ্বীপ এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিভিন্ন কোম্পানির ২৩টি মোটরসাইকেলসহ শাহেদ ও রিপন নামে দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে মিঠনের তথ্যমতে ব্রিজঘাট এলাকা থেকে খোরশেদ আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়।

তিনি বলেন, চোরচক্রের সদস্যরা ১০ থেকে ১৫ সেকেন্ডের মধ্যে মোটরসাইকেলের লক ভেঙে পালিয়ে যায়। তারপর তারা মোটরসাইকেলগুলো দ্বীপ অঞ্চল সন্দ্বীপে নিয়ে গিয়ে কম মূল্যে বিক্রি করেন। আর যারা মোটরসাইকেলগুলো ক্রয় করেন তারা সন্দ্বীপ ঘাটে মানুষ যাওয়া-আসাতে ভাড়া মেরে থাকেন।

গ্রেপ্তাররা হলেন- চোরচক্রের মূলহোতা মিঠন ধর (২৯), মো. বাবর ওরফে বাবুল (৩৫), মো. শাহেদ (২৬), মো. রিপন (৪০) ও মো. খোরশেদ আলম (২৯)। পলাতক রয়েছেন দুজন। তারা হলেন- মো. দিদার হোসেন (৩০) ও মো. নজরুল ইসলাম ওরফে তাহের (৩০)। তাদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।

জানা যায়, গ্রেপ্তারদের মধ্যে মিঠন ধরের বিরুদ্ধে লোহাগাড়া ও সাতকানিয়া থানায় ৩টি চুরির মামলা, মো. বাবর ওরফে বাবুলের বিরুদ্ধে কোতোয়ালী ও খুলশী থানায় ২টি মোটরসাইকেল চুরির মামলা এবং খোরশেদ আলমের বিরুদ্ধে বাঁশখালী থানায় একটি চুরির মামলা রয়েছে।

এ সময় তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন কোম্পানির চুরি হওয়া ২৪টি মোটরসাইকেল উদ্ধার করা হয়। চুরি হওয়া বাকি মোটরসাইকেলগুলো উদ্ধারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। চোরচক্রের সদস্যরা মোটরসাইকেলগুলো চুরি করার পর দ্রুত সময়ের মধ্যে পার্টস খুলে ফেলার কারণে চুরি হওয়া মোটরসাইকেল সহজে শনাক্ত করা যায় না।

কোতোয়ালী থানার পুলিশ পরিদর্শক (অপারেশন) রুবেল হাওলাদারের নেতৃত্বে অভিযানে ছিলেন এসআই মিজানুর রহমান চৌধুরী, এসআই মো. মোশাররফ হোসাইন, এসআই খায়রুল বাসার সাজিদ, এএসআই সাইফুল আলম ও এএসআই রণেশ বড়ুয়া।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) নোবেল চাকমা, সহকারী পুলিশ কমিশনার (কোতোয়ালী জোন) অতনু চক্রবর্তী এবং কোতোয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ জাহিদুল কবির।

এএইচ/এসআই

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!