৬ ঘণ্টার ট্র্যাজেডি—ছেলে মারা গেল বুকের ব্যথায়, মা কাঁদতে কাঁদতে

মিরসরাইয়ে ছেলের মৃত্যুর ৬ ঘণ্টা পর মারা গেলেন মা। একইদিনে মা-ছেলের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। এছাড়া তাদের দুজনের মৃত্যুশোকে আরও দুজন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

মঙ্গলবার (১ নভেম্বর) উপজেলার ওয়াহেদপুর ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম ওয়াহেদপুর গ্রামের আব্দুল গণি মুন্সি বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে।

মারা যাওয়ারা হলেন নুরুন্নবী (৩৮) ও তার মা ছকিনা বেগম। নুরুন্নবী পেশায় মাছ ব্যবসায়ী ছিলেন। তারা একই বাড়ির মৃত আবুল খায়েরের ছেলে এবং স্ত্রী।

পরিবারের সদস্যরা বলছেন, ছেলের মৃত্যু শোক সহ্য করতে না পেরে মায়ের মৃত্যু হয়েছে।

আরও পড়ুন: মিরসরাই ট্র্যাজেডির জন্য দায়ী গেটকিপার ও মাইক্রো চালক

এদিকে বাবা এবং দাদীর মৃত্যুশোকে অসুস্থ হয়ে পড়েছেন নুরুন্নবীর ১৩ বছরের মেয়ে মোছাম্মৎ রোকসানা ও খালা রেহানা। বর্তমানে রোকসানা বাড়িতে এবং খালা উপজেলার একটি বেসরকারি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।

স্বজন নূরের ছাপা বলেন, নুরুন্নবী বছর দুয়েক আগে কিডনি রোগে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়ে সুস্থ হন। ৪-৫ দিন আগে হাদি ফকিরহাট বাজারে একটি করাতকলে বাড়ির কিছু গাছ কাটার জন্য গেলে সেখানে তার পায়ে ব্যথা উঠে। বিভিন্ন চিকিৎসা নিয়েও ব্যথা যাচ্ছিল না। সর্বশেষ আজ (মঙ্গলবার) ভোর ৫টার দিকে হঠাৎ বুকে ব্যথা উঠলে নুরুন্নবী মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন। এরপর ছেলের মরদেহের পাশে বসে কাঁদতে কাঁদতে বেলা সাড়ে ১২টার দিকে মা ছকিনা বেগমও মারা যান।

তিনি আরও বলেন, নুরুন্নবীরা ৩ ভাই। মেজ ভাই মো. আনোয়ার চট্টগ্রামে মাছের ব্যবসার করেন এবং তৃতীয় জন নুর উদ্দিন ওমান প্রবাসী। আজ (মঙ্গলবার) জোহরের নামাজের পর নুরুন্নবীর জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে লাশ দাফন করা হয়েছে। ছোট ছেলে ওমান থেকে আসার পর আগামীকাল (বুধবার) ছকিনা বেগমের নামাজে জানাজা হবে।

ওয়াহেদপুর ইউনিয়ন চেয়ারম্যান ফজলুল কবির ফিরোজ বিষয়টি নিশ্চিত করে আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, ঘটনাটি খুবই মর্মান্তিক। বর্তমানে আমি জরুরি কাজে চট্টগ্রাম শহরে অবস্থান করছি। তাদের আর্থিক অবস্থা যদি দুর্বল হয় তাহলে ইউনিয়ন পরিষদ থেকে সহযোগিতা করা হবে।

এএ/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!