চন্দনাইশে খুনের পর লুকিয়ে ছিল নগরে, ১৫ মাস পর ধরা পড়ল তিন যুবক

চন্দনাইশে আলোচিত মো. হাবিবুর ইসলাম হত্যা মামলার তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে চট্টগ্রাম পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই)।

বুধবার (৮ জুন) দুপুরে নগরের লালদীঘিপাড় সংলগ্ন জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনে থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

এদিকে আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে গ্রেপ্তার আসামিদের বিচারিক আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: ধর্ষণ করে হুমকি—১১ মাস পর নাসিরাবাদে ধরা পড়ল ধর্ষক

গ্রেপ্তাররা হলেন- সাতকানিয়া থানার নতুন চর খাগরিয়া ১ নম্বর ওয়ার্ডের মফজল মিয়ার ছেলে মো. শাখাওয়াত ওরফে শওকত (৩৮), একই থানার ২ নম্বর ওয়ার্ডের মধ্যম নলুয়া জয়নাবের বাপের বাড়ির শাহ আলমের ছেলে কামরুল আজাদ সুমন (৩২) এবং চন্দনাইশ থানার ৩ নম্বর ওয়ার্ড মজিদ মেম্বারের বাড়ির তমিজ উদ্দিনের ছেলে মো. আজাহার উদ্দিন (২৯)।

জানা গেছে, ২০২১ সালের ১৪ ফেব্রুয়ারি সকালে নিহত হাবিবুর ইসলাম চন্দনাইশ পৌরসভার ৮ নম্বর ওয়ার্ডের দক্ষিণ গাছবাড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভোটকেন্দ্রে যান। সেখানে কাউন্সিলর প্রার্থী দুই গ্রুপের সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও গোলাগুলি হয়। সেখানে গুলিবিদ্ধ হন হাবিবুর ইসলাম। ঘটনার পর স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে চন্দনাইশ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেন। পরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়। হাসপাতালে সাতদিন মৃত্যুর সঙ্গে লড়ে ২১ ফেব্রুয়ারি তিনি মারা যান।

মৃত্যুর পর হাবিবুরের মা ছকিনা খাতুন বাদি হয়ে চন্দনাইশ থানায় হত্যা মামলা করেন। পরে আদালতের নির্দেশে মামলাটি চট্টগ্রাম জেলা পিবিআইয়ের কাছে হস্তান্তর করা হয়।

আরও পড়ুন: কিরিচ দিয়ে কব্জি বিচ্ছিন্ন—অণ্ডকোষে হাতুড়িপেটা, ধরা খেল আওয়ামী লীগ নেতা

এ বিষয়ে মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা চট্টগ্রাম জেলা পিবিআইয়ের উপপরিদর্শক (এসআই) শফিউল আলম বলেন, চন্দনাইশের হাবিবুর ইসলাম হত্যা মামলার তিন আসামিকে নগরের লালদীঘি জেলা পরিষদ মার্কেটের সামনে থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ঘটনার পর থেকে তারা আত্মগোপনে ছিলেন।

তিনি আরও বলেন, আজ (বৃহস্পতিবার) দুপুরে গ্রেপ্তারদের আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।

এএইচ/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!