আওয়ামী লীগের ১১ বিদ্রোহী প্রার্থীকে বহিষ্কার—তিনদিন পর স্থায়ী

আগামী ২০ সেপ্টেম্বর কক্সবাজার জেলার ১৫টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভা নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসেবে অংশ নেওয়া ১১ জনকে আওয়ামী লীগ থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে।

বুধবার (১৫ সেপ্টেম্বর) কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে তাদের বহিষ্কার করা হয়েছে বলে জানা গেছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করেন কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি অ্যাডভোকেট ফরিদুল ইসলাম চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক মেয়র মুজিবুর রহমান। তাঁরা বলেন, বিদ্রোহী প্রার্থীদের আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্দেশনা মোতাবেক সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

বহিষ্কৃত বিদ্রোহী প্রার্থীরা হলেন— টেকনাফ উপজেলার সাবরাং ইউনিয়নের নুর হোসেন, হ্নীলা ইউনিয়নের কামাল উদ্দিন আহমদ, পেকুয়া উপজেলার টইটং ইউনিয়নের মোহাম্মদ শহিদুল্লাহ বিএ, মহেশখালী উপজেলার কুতুবজোম ইউনিয়নের মোশারফ হোসেন খোকন, মাতারবাড়ী ইউনিয়নের এনামুল হক রুহুল, মাস্টর মোহাম্মদ উল্লাহ, মাস্টার রুহুল আমিন, আবদুস সাত্তার, হোয়ানক ইউনিয়নের মীর কাসেম চৌধুরী ও ওয়াজেদ আলী মুরাদ। কুতুবদিয়া উপজেলার আছেন উত্তর ধুরুং ইউনিয়নের সিরাজদৌল্লাহ।

আরও পড়ুন: ‘আ.লীগ নেতা হতে গিয়ে জেলে’—৭ বছর পালিয়েও ধরা সেই ‘কাউন্সিলর’

এছাড়া দলীয় প্রার্থীদের বিপক্ষে অবস্থান নেওয়ায় টেকনাফ উপজেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি জাফর আলম (সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান), মহেশখালীর হোয়ানক ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জাফর আলম জহুরকেও সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।

কক্সবাজার জেলা আওয়ামী লীগের উপপ্রচার সম্পাদক এমএ মঞ্জুর বলেন, কক্সবাজারে আগামী ২০ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হবে ১৫টি ইউনিয়ন ও ২টি পৌরসভার নির্বাচন। এতে দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে গিয়ে প্রার্থী না হওয়ার জন্য ১১ সেপ্টেম্বর নোটিস জারি করা হয়েছিল। পাশাপাশি যারা বিদ্রোহী প্রার্থী তাদের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নেওয়ার জন্য ১৩ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সময় দেওয়া হয়েছিল। অনেকেই তা মেনে নিয়ে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন। এরমধ্যে ১১ জন প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। তাদের তিনদিন সময় বেধে দিয়ে ১৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে। যদি এ সময়ের মধ্যে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে না নেয় তাহলে ১১ জনকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করা হবে বলেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।

তাদেরকে চূড়ান্তভাবে কেন বহিষ্কার করা হবে না- জানতে চেয়ে আগামী ১৭ সেপ্টেম্বরের মধ্যে কারণ দর্শানোর নির্দেশও দেওয়া হয়েছে বলে জানান এমএ মঞ্জুর। তিনি আরো বলেন, নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কারণ দর্শাতে না পারলে তাদের চূড়ান্তভাবে বহিষ্কারের জন্য বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদ বরাবরে জেলা আওয়ামী লীগের সুপারিশ পাঠানো হবে।

বলরাম/ডিসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!