১০ বছর লুকিয়ে ছিল শিবির ক্যাডার গিট্টু মানিক

১০ বছর পালিয়ে থাকার পর নগরের বায়েজিদের শীর্ষ সন্ত্রাসী সাজ্জাদের সহযোগী শিবির ক্যাডার গিট্টু মানিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ

মঙ্গলবার (১৬ আগস্ট) রাতে বায়েজিদ থানা এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস জাহান।

এর আগে ২০১৬ সালের ৩১ আগস্ট একে-৪৭সহ বিভিন্ন স্বয়ংক্রিয় অস্ত্র উদ্ধারের মামলায় বহুল আলোচিত শিবির ক্যডার সরওয়ার-ম্যাক্সন ও গিট্টু মানিকদের প্রত্যেককে ২১ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন আদালত। চট্টগ্রামের বিশেষ ট্রাইবুন্যাল-৭ এর বিচারক এবং যুগ্ম মহানগর দায়রা জজ মোছাম্মৎ বিলকিস আক্তার এ রায় দেন।

জানা গেছে, ২০১১ সালের ৪ জুলাই ব্রাক্ষ্মণবাড়িয়া সদরের বিশ্ব৷ রোড চৌরাস্তার মোড় থেকে চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত সন্ত্রাসী ও শিবির ক্যাডার সরওয়ার এবং ম্যাক্সনকে আটক করেন বায়েজিদ বোস্তামি থানার তৎকালীন ওসি একেএম মহিউদ্দিন সেলিমের নেতৃত্বে পুলিশের একটি টিম। তাদের দেওয়া স্বীকারোক্তি মতে, পুলিশ ৬ জুলাই ভোর ৪টায় বায়েজিদ থানার ওয়াজেদিয়া হামিদপুর এলাকা থেকে তাদের শিবির ক্যাডার মানিকের বসতবাড়ির পেছনে পুকুরপাড় থেকে এক বস্তা অস্ত্র উদ্ধার করে। অস্ত্রগুলোর মধ্যে ছিল একটি একে-৪৭ রাইফেল ও ২৭ রাউন্ড গুলি, একটি বিদেশি পিস্তল ও তিন রাউন্ড গুলি, একটি দেশীয় তৈরি বন্দুক, একটি দেশি ওয়ান শুটারগান এবং একটি এলজি। এ সময় পুলিশ মানিককেও আটক করতে সক্ষম হয়।

আরও পড়ুন: ধরা খেল জামালখানের কাচ্চি ডাইন—হাজি বিরিয়ানি, ২৬ মামলা নগরে

অস্ত্র উদ্ধারের ঘটনায় তিন শিবির ক্যাডারকে আসামি করে মামলা দায়ের করে বায়েজিদ বোস্তামি থানা পুলিশ। ওই মামলায় তিনজনকে অভিযুক্ত করে ২০১১ সালের ৮ আগস্ট আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই জহির হোসেন।

২০১২ সালের ২৬ জানুয়ারি আদালত ১৯৭৮ সালের অস্ত্র আইনের বিভিন্ন ধারায় তিন আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচারকাজ শুরুর আদেশ দেন।

আদালতে রাষ্ট্রপক্ষের ১২ জন সাক্ষীর মধ্যে ১১ জন স্বাক্ষ্য দেন। এর মধ্যে আটজন সাক্ষী মামলার এজাহারে আনা অভিযোগের সপক্ষে সাক্ষ্য দেন। বাকি তিনজন আসামিদের পক্ষে সাক্ষ্য দেন।

এনইউএস/এসআই

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!