‘হুমকিতে দেশ’—রাতারাতি ৫৫ হাজার রোহিঙ্গা বাংলাদেশি ভোটার, দুদকের জালে ইসির ৪ লোক

৫৫ হাজার ৩১০ রোহিঙ্গাকে ভোটার করার অভিযোগে নির্বাচন কমিশন অফিসের চার লোকের বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

অভিযুক্তরা হলেন— খোরশেদ আলম, মাহফুজুল ইসলাম, রাসেল বড়ুয়া ও মোস্তফা ফারুক।

এদের মধ্যে খোরশেদ আলম চট্টগ্রামের সাবেক সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা এবং বর্তমানে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের পরিচালক। অন্যদের মধ্যে মাহফুজুল ইসলাম রামু উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, রাসেল বড়ুয়া সাবেক অফিস সহায়ক ও মোস্তফা ফারুক পাঁচলাইশ থানা নির্বাচন অফিসের টেকনিক্যাল এক্সপার্ট।

বুধবার (১৬ জুন) বিকালে দুদক সমন্বিত জেলা কার্যালয় চট্টগ্রাম-২ এর উপসহকারী পরিচালক মো. শরীফ উদ্দিন বাদি হয়ে এ মামলা দায়ের করেন।

মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১৫ চট্টগ্রাম জেলা নির্বাচন অফিসের কর্মরত ছিলেন খোরশেদ আলম। এ সময় মিরসরাই উপজেলা নির্বাচন কার্যালয়ে কাজের জন্য Dell Latitude 630, Service Tag Number-GYSPSIS- 4214 নম্বর সম্বলিত ল্যাপটপটি পাঠানো হয়। কাজ শেষে মিরসরাই উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ওই ল্যাপটপটি ফেরত দিলে সেটি আর জেলা নির্বাচন কমিশন কার্যালয়ে জমা হয়নি।

সেই ল্যাপটপ দিয়েই খোরশেদ আলমের মদদে জালিয়াতিতে নেমে পড়েন মাহফুজুল ইসলাম, রাসেল বড়ুয়া ও মোস্তফা ফারুক। অবৈধভাবে রোহিঙ্গা নাগরিকদের ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্তি করে হাতিয়ে নেন বিপুল পরিমাণ টাকা। এভাবে তারা ৫১ হাজার ৩১০ রোহিঙ্গাকে বাংলাদেশের ভোটার বানান। এমনকি ল্যাপটপটি হারিয়ে যাওয়ার বিষয়ে কোনো থানায় জিডিও করা হয়নি।

এজাহার সূত্রে আরও জানা যায়, ২০১৯ সালের ১ সেপ্টেম্বর কক্সবাজারের টেকনাফ উপজেলার জাদিমুরা ২৭ নম্বর রোহিঙ্গা ক্যাম্পের পাশে পাহাড়ে পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয় রোহিঙ্গা ডাকাত নুর আলম। তার কাছ থেকে পাওয়া যায় বাংলাদেশের ভোটার আইডি কার্ড।

কীভাবে রোহিঙ্গা ডাকাতের হাতে ভোটার আইডি কার্ড? এই প্রশ্নের তদন্ত করতে গিয়েই বের হয় থলের বিড়াল। সেই সঙ্গে হদিস পাওয়া যায় ‘হারিয়ে যাওয়া’ ল্যাপটপের। সেসময় তদন্ত কমিটিতে ছিলেন খোরশেদ আলম। ডাকাত নিহতের ঘটনায় তিনি একটি প্রতিবেদনও দাখিল করেন। কিন্তু প্রতিবেদনে ল্যাপটপ হারিয়ে যাওয়ার বিষয়টি কৌশলে এড়িয়ে যান।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!