হঠাৎ উত্তপ্ত চুয়েট—এক ছাত্রকে কোপাল রাম দা দিয়ে, আরেক ছাত্রের ফাটাল মাথা

আধিপত্য বিস্তারে হঠাৎ উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)। তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে জড়িয়েছে ছাত্রলীগের দুগ্রুপ। এতে আহত হয়েছে দুজন।

শনিবার (১১ জুন) রাতে শুরু হয় ঘটনার সূত্রপাত। পরদিন রোববার দুপুর পর্যন্ত চলে সংঘর্ষ। এ সময় লাঠিসোটা, রামদা আর ইট পাটকেল নিয়ে উভয়পক্ষ আক্রমণাত্মক অবস্থান নেয় ক্যাম্পাসে।

আরও পড়ুন: সরকারবিরোধী ষড়যন্ত্রে উত্তপ্ত রাউজান কলেজ—২ শিক্ষক ও কর্মচারীর অপসারণ চান ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা

জানা গেছে, শনিবার রাতে চট্টগ্রাম শহরে উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেলের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করে চুয়েটের সমর্থক গ্রুপ। অনুষ্ঠান শেষ হতে দেরি হওয়ায় শিক্ষার্থীদের একটি গ্রুপ রাত ৯টার বাসের মধ্যে একটি বাস ৩০ মিনিট দেরিতে ছাড়তে বলে। তখন বাসে থাকা নাসির গ্রুপের সমর্থকরা নির্দিষ্ট সময়েই বাস ছাড়ার কথা বললে দুপক্ষের মধ্যে বাকবিতণ্ডা শুরু হয়। পরে তা ক্যাম্পাসে মারামারিতে রূপ নেয়।

মারামারির একপর্যায়ে একটি গ্রুপ শেখ রাসেল হলে একে অপরপক্ষের রুমের তালা ভেঙে ফেলে। এরপর রুমে প্রবেশ করে তাদের বিছানাপত্র রুমের বাইরে ছুঁড়ে ফেলে দিয়ে স্লোগান দিতে থাকে। শনিবার রাতের ঘটনার সূত্র ধরে আজ (রোববার) দুপুরে শেখ রাসেল হলে আবারও হাতাহাতিতে জড়ায় দুগ্রুপ। এরপর শেখ রাসেল হল, শহীদ তারেক হুদা হল ও শাহ হলের কিছু শিক্ষার্থী একত্রিত হয়ে ড. কিউকে হলের দিকে যায় এবং বিভিন্ন স্লোগান দিতে থাকে।

এসময় কিউকে হলের ছাদ থেকে ছোঁড়া ইটের আঘাতে যন্ত্রকৌশল বিভাগের তৌহিদুর রহমান তামিম নামে চতুর্থ বর্ষের (‘১৭ ব্যাচ) এক সাধারণ শিক্ষার্থীর মাথা ফেটে যায়। আহত হন রামসান নামের আরেক সাধারণ শিক্ষার্থী। ল্যাব থেকে ফেরার পথে রাম দা দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত করা হয় তড়িৎ কৌশল বিভাগের তৃতীয় বর্ষের ছাত্র রাফসানকে।

মারামারির একপর্যায়ে সাধারণ শিক্ষার্থীদের মাঝে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে গুজব ওঠে বিশ্ববিদ্যালয় বন্ধের।

আরও পড়ুন: সাদিয়ার মৃত্যুর ‘দায়’ নিয়ে উত্তপ্ত চট্টগ্রাম—মেয়র দিলেন উত্তর

ঘটনার বিষয়ে জানতে চাইলে ছাত্রকল্যাণ দপ্তরের পরিচালক ডা. মো. রেজাউল করিম আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, ক্যাম্পাস বন্ধের বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। ক্যাম্পাসে আসার সময় দুছাত্রের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। পরে তা কম্প্যাস পর্যন্ত ছড়িয়ে পড়ে। বর্তমানে পরিস্থিতি বিশ্ববিদ্যালয় প্রসাশনের নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। আজ (রোববার) ক্লাস ও পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। যথারীতি আগামীকালও (সোমবার) ক্লাস-পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।

রাউজান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবদুল্লাহ আল হারুনের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও সংযোগ না পাওয়ায় তাঁর বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

টিবি/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!