স্বপ্নবাজ তরুণদের পথ দেখাচ্ছে নিউ এরা ডিফেন্স একাডেমি

স্বপ্নবাজ এক তরুণ সাকিব। স্বপ্ন দেখেন দেশের সীমানা ছাড়িয়ে বিদেশের মাটিতেও লাল-সবুজের পতাকা উড়ানোর।

নিজের লালিত স্বপ্ন পূরণ করার সুযোগ পেয়েছেন সাকিব। উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষে মেরিন ক্যাডেট হিসেবে পড়ার সুযোগ পেয়েছেন রংপুরের মেরিন একাডেমিতে।

সাকিবের মতো অসংখ্য স্বপ্নবাজ তরুণের স্বপ্ন বাস্তবায়নে নেপথ্যের কারিগর ‘নিউ এরা ডিফেন্স একাডেমি’।

শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) রাত ৮টায় নগরের প্রবর্তক মোড়ের এক রেস্টুরেন্টে জমকালো আয়োজন করে নিউ এরা ডিফেন্স একাডেমি। প্রতিষ্ঠানের চট্টগ্রাম শাখা থেকে সুযোগ পাওয়া ৫৮তম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দিতেই এই আয়োজন।

অনুষ্ঠানে প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে দেশের বিভিন্ন মেরিন একাডেমিতে ভর্তির সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট প্রদানসহ নৈশ ভোজের আয়োজন করা হয়।

জানা যায়, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌবাহিনী, বিমানবাহিনী ও বাংলাদেশ মেরিনে ক্যারিয়ার গড়তে আগ্রহী শিক্ষার্থীদের সঠিক গাইডলাইনসহ প্রশিক্ষণ ও প্রয়োজনীয় পরামর্শ প্রদানের লক্ষ্যে ২০১৯ সালের ১৯ মার্চ যাত্রা শুরু করে ‘নিউ এরা ডিফেন্স একাডেমি’। বর্তমানে চট্টগ্রামে একটি ও ঢাকায় দুটি শাখা রয়েছে এ প্রতিষ্ঠানের।

প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে প্রায় ৫ হাজার শিক্ষার্থী রয়েছে। তরুণ শিক্ষার্থীদের মেরিনে ক্যারিয়ার গড়তে পথপ্রদর্শক হিসেবে কাজ করছে প্রতিষ্ঠানটি।

ইতোমধ্যে এ প্রতিষ্ঠান থেকে প্রায় ৭০০ শিক্ষার্থী তাদের কাঙ্খিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পেরেছেন। এরই ধারাবাহিকতায় মেরিন একাডেমির এবারের ৫৮তম ব্যাচে নিউ এরা ডিফেন্স একাডেমি থেকে চট্টগ্রামসহ সারাদেশের ৫১ জন শিক্ষার্থী ভর্তির সুযোগ পেয়েছেন। এর মধ্যে চকবাজারে অবস্থিত নিউ এরা ডিফেন্স এক্ডেমির চট্টগ্রাম শাখা থেকে সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীদের সংবর্ধনা দেওয়া হয়।

সংবর্ধনা অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন মেরিন ক্যাডেট এমআরএ সোয়েব। পাবনার বাংলাদেশ মেরিন একাডেমিতে ভর্তির সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থী মো. সাফকাতুর রহমান বলেন, সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে আমি বাংলাদেশ মেরিন একাডেমি পাবনায় চান্স পেয়েছি। আমার এই সাফল্যের জন্য সর্বপ্রথম আমি আমার পিতা-মাতার কাছে কৃতজ্ঞ। দ্বিতীয়ত, আমার এই পথ চলায় পাশে থাকার জন্য নিউ এরা ডিফেন্স একাডেমিকে ধন্যবাদ জানাই। সাপ্তাহিক ক্লাস ও ফিল্ড ক্লাসের মাধ্যমে আমরা মেরিন ভর্তি পরীক্ষায় সফলভাবে উত্তীর্ণ হয়েছি।

চট্টগ্রামে অবস্থিত বাংলাদেশ মেরিন ফিশারিজ একাডেমিতে সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থী আব্দুল্লাহ আল সালমান বলেন, উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা শেষ করার পরপরই একটি উজ্জ্বল, সম্মানিত এবং অল্প সময়ে প্রতিষ্ঠিত হওয়ার জন্য মেরিন ক্যারিয়ারের পেছনে ছুটতে শুরু করি। আমার সেই খোঁজের শেষ হলো নিউ এরা ডিফেন্স একাডেমিতে। সৃষ্টিকর্তার অশেষ রহমতে, মা-বাবার দোয়ায় এবং নিউ এরা ডিফেন্স একাডেমির ফিজিক্যাল, রিটেন এবং ভাইভাসহ সকল মাধ্যমে সার্বিক সহযোগিতায় আমি মেরিনে চান্স পেয়েছি।

এদিকে অনুষ্ঠানে নিউ এরা ডিফেন্স একাডেমির ব্যবস্থাপনা পরিচালক লেফটেন্যান্ট (অব.) দেবায়ন চক্রবর্তী বলেন, বাংলাদেশ সেনাবাহিনী, নৌ বাহিনী, বিমানবাহিনী এবং বাংলাদেশ মেরিনে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের প্রশিক্ষণ, সঠিক গাইড লাইন এবং প্রয়োজানীয় পরামর্শ দেওয়াই আমাদের মূল লক্ষ্য। বর্তমানে প্য় সাত শতাধিক শিক্ষার্থী আমাদের গাইডলাইন নিয়ে নিজেদের কাঙ্খিত স্বপ্ন পূরণ করে সাফল্য অর্জন করেছে। নিজে একজন প্রাক্তন সামরিক বাহিনীর সদস্য হওয়ায় আমি জানি একজন ক্যান্ডিডেটের প্রয়োজনীয়তা।

তিনি বলেন, আমি নিজে সামরিক বাহিনীতে জয়েন হতে যে সমস্যাগুলোর সম্মুখীন হযেছিলাম, আমার শিক্ষার্থীরা যাতে সেই সমস্যাগুলো সম্মুখীন না হয় তা আমার প্রতিষ্ঠান নিশ্চিত করে। একজন সফল ক্যান্ডিডেটের গৌরবময় সাফল্যই আমাদের প্রাপ্তি। এখান থেকে দেশের বিভিন্ন মেরিন একাডেমিতে সুযোগ পাওয়া শিক্ষার্থীরা একদিন জাতীয় পর্যায় ছাড়িয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অবদান রেখে দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করবে।

এসআই/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!