কখনো সাংবাদিক, কখনো তান্ত্রিক—কখনো মানবাধিকার কর্মী সেই ইব্রাহিম ধরা

ইব্রাহিম হোসেন (৪৫)। নিজেকে পরিচয় দেন কখনো মানবাধিকার কর্মী, কখনো সাংবাদিক, আবার কখনো তান্ত্রিক। গুপ্তধন পাইয়ে দেওয়ার লোভ দেখিয়ে মানুষের কাছ থেকে হাতিয়ে নিয়েছেন লাখ লাখ টাকা। তবে এবার আর শেষ রক্ষা হয়নি। র‌্যাবের জালে ধরা পড়ল এই প্রতারক।

মঙ্গলবার (১৯ এপ্রিল) দুপুর ৩টার দিকে তাকে হালিশহর থানার বৌ বাজার এলাকার থেকে আটক করা হয়।

আরও পড়ুন: লোহাগাড়ায় অস্ত্রসহ র‌্যাবের জালে ধরা খেল সন্ত্রাসী জসিম

বুধবার (২০ এপ্রিল) বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার।

আটক ইব্রাহিম হোসেন হালিশহর থানার রায়পুর এলাকার এরশাদ হোসেনের ছেলে।

এ বিষয়ে র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার জানান, ফরহাদুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তি দুই বছর ধরে মানসিক বিকারগ্রস্ত। এক প্রতিবেশী ফরহাদকে সুস্থ করে দেওয়ার কথা বলে ইব্রাহিমের কাছে নিয়ে আসে। ইব্রাহিম তাকে সুস্থ করার আশ্বাস দেন।

এরপর ইব্রাহিম ফরহাদুলকে তাবিজ ও পানি পড়া দেন এবং জানান তার ভাগ্যে বহু মূল্যবান গুপ্তধন রয়েছে। গুপ্তধন উদ্ধার করতে হলে টাকা খরচ করতে হবে ফরহাদুলের পরিবারকে। ফরহাদুলের পরিবার সরল মনে ইব্রাহিমকে প্রথমে নগদ দুই লাখ টাকা এবং পরে আরও সাড়ে ৩ লাখ টাকাসহ মোট সাড়ে ৫ লাখ টাকা দেন।

আরও পড়ুন: পাহাড় থেকে ট্রাকভর্তি গর্জন কাঠ নিয়ে যাওয়ার সময় ধরা ৩ যুবক

এদিকে গুপ্তধন দিতে না পারায় ১৯ এপ্রিল ফরহাদুলের পরিবার ইব্রাহিমের বাসায় গিয়ে সব টাকা ফেরত চায়। এসময় ফরহাদুলের পরিবারের সদস্যদের বেঁধে রাখার জন্য লোকজন ডাকেন ইব্রাহিম এবং তাদের আধ্যাত্মিক ক্ষমতা দিয়ে ধ্বংস করার হুমকি দেন। তখন রাস্তার পাশে র‌্যাবের একটি টহলগাড়ি দেখে পরিবারটি তাদেরকে বিষয়টি জানায়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে র‌্যাব-৭ অভিযান চালিয়ে ইব্রাহিমকে আটক করে।

র‌্যাবের জিজ্ঞসাবাদে ইব্রাহিম স্বীকার করেন কবিরাজির নামে প্রতারণার মাধ্যমে টাকা-পয়সা হতিয়ে নেওয়া এবং বিভিন্ন কৌশলে নারীদের সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করার কথা। টাকা নেওয়ার বিষয়টিও স্বীকার করেছেন ইব্রাহিম। পরে তাকে হালিশহর থানায় হস্তান্তর করা হয়।

সিএম/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!