সীতাকুণ্ডে বাড়ছে করোনার প্রকোপ। গত ২৪ ঘণ্টায় ১৮ জনের শরীরে মিলেছে করোনার জীবাণু। সেই সঙ্গে ৩ জনের প্রাণ নিয়েছে এ ভাইরাস।
স্থানীয় ও হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি করোনা উপসর্গ নিয়ে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি হন কুমিরা ইউনিয়নের মছজিদ্দা মুক্তিযোদ্ধা জাফর বাড়ির বাসিন্দা মো. আনোয়ার হোসেনের (৮০) দুই ছেলে। তারা সুস্থ হয়ে ফিরলেও আক্রান্ত হন আনোয়ার হোসেন। বাড়িতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সোমবার (৫ জুলাই) তিনি মারা যান।
একই ইউনিয়নে মারা যান কাজিপাড়া এলাকার গণি কোম্পানি বাড়ির মৃত ছালে আহামদের ছেলে মো. আনোয়ার হোসেন (৫৫)। গত বৃহস্পতিবার বিকালে শ্বাসকষ্ট ও বুকে ব্যথা নিয়ে চট্টগ্রাম জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। রোববার রাতে শ্বাসকষ্ট তীব্র হলে আইসিইউর সিট না থাকায় ওখান থেকে তার পরিবার তাকে চমেক হাসাপতালে নিয়ে যায়। সেখানেও আইসিইউ সিট খালি না থাকায় হাসপাতালের করোনা সাসপেক্টেড আইসোলেশন ওয়ার্ডে রাখা হয়। সোমবার দুপুরে তিনি মারা যান।
এদের মারা যাওয়া সত্যতা নিশ্চিত করেছেন কুমিরা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মোরর্শেদুল আলম চৌধুরী।
একই এলাকার বাসিন্দা সাংবাদিক জাহাঙ্গীর আলম জানান, তার এলাকায় মো. শামছুল আলম ও তার স্ত্রী এবং সাবেক ইউপি সদস্যও করোনা আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। তাদের অবস্থাও আশঙ্কাজনক।
অপরদিকে ভাটিয়ারী ইউনিয়নের মাদামবিবিরহাট জাহানাবাদ বসর কন্ট্রাক্টরের বাড়ির মৃত মো. মাকসুদুর রহমানের ছেলে মাহবুবুল আলম (৬৫) জ্বর-কাশি-সর্দি ও বুকে ব্যথা নিয়ে আগ্রাবাদ মা ও শিশু হাসপাতালে ভর্তি হন। সোমবার শ্বাসকষ্ট বাড়লে তিনি মারা যান বলে জানান ইউপি মেম্বার মো. সাহেদ।
সীতাকুণ্ড উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ বলেন, সীতাকুণ্ডে হঠাৎ করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে গেছে। যারা জ্বর-সর্দি ও কাশিতে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের দ্রুত হাসপাতালের ফ্লু কর্ণারে স্যাম্পল দেওয়ার পাশাপাশি প্রয়োজনীয় চিকিৎসাসেবা গ্রহণ করা অনুরোধ করছি। আক্রান্তরা প্রথম ধাপে চিকিৎসা নিলে দ্রুত রোগমুক্ত হওয়া সম্ভব।
সোমবার করোনায় ৩ জনের মৃত্য হয়েছে। এছাড়া নতুন করে আরো ১৮ জন করোনা আক্রান্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।
সালাউদ্দিন/ডিসি