সীতাকুণ্ডে নানা উন্নয়ন—চট্টগ্রামের শ্রেষ্ঠ ইউএনও শাহাদাত হোসেন

চট্টগ্রাম জেলা পর্যায়ে শ্রেষ্ঠ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নির্বাচিত হয়েছেন মো. শাহাদাত হোসেন। তিনি সীতাকুণ্ড উপজেলার ইউএনও। জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা সপ্তাহে তাঁকে চট্টগ্রাম জেলার শ্রেষ্ঠ ইউএনও নির্বাচিত করা হয়।

রোববার (২ অক্টোবর) চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মো. মমিনুর রহমান ও জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. শহীদুল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ ঘোষণা দেওয়া হয়।

ইউএনও মো. শাহাদাত হোসেন আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, সীতাকুণ্ডে নিয়মিত রুটিন কার্যক্রমের পাশাপাশি প্রাথমিক শিক্ষার মানোন্নয়ন, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের মনোদৈহিক বিকাশ ও অবকাঠামোগত উন্নয়নে অনেকগুলো কাজ করেছি।

সীতাকুণ্ডের মাননীয় এমপি দিদারুল আলমের নামে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদ ২০২১-২২ অর্থ বছরে ৫০ লাখ টাকা বিশেষ বরাদ্দ প্রদান করে এবং পুরো ৫০ লাখ টাকা প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়নে ব্যয় করা হয়েছে।

এই অর্থ ব্যয়ে সীতাকুণ্ডের ১৫টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে অভিভাবকদের জন্য ‘ওয়েটিং শেড’ নির্মাণকাজ চলমান আছে। পাশাপাশি এই ওয়েটিং শেডগুলো ছোট্ট শিশুদের ‘ব্রেস্ট ফিডিং কর্নার’ হিসেবেও ব্যবহৃত হবে— বলেন তিনি।

ইউএনও বলেন, চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমানের সার্বিক সহযোগিতায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ‘বিশেষ এলাকার জন্য উন্নয়ন সহায়তা (পার্বত্য চট্টগ্রাম ব্যতীত) কর্মসূচি’ হতে সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের ত্রিপুরা পল্লীতে অবস্থিত ‘ত্রিপুরাপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়’ এর শিক্ষকদের বেতন, শিক্ষার্থীদের শিক্ষাবৃত্তি ও ছাত্রীদের জন্য বাইসাইকেল ক্রয়ের জন্য ৯ লাখ ১৮ হাজার টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। তা যথাযথভাবে ব্যয় করা হয়েছে।

তিনি বলেন, সীতাকুণ্ডে ২০২১-২২ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার বিভাগের ‘উপজেলা পরিচালনা ও উন্নয়ন প্রকল্প’ হতে প্রাপ্ত ৫০ লাখ টাকার মধ্যে ১০ লাখ টাকা উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এস এম আল মামুনের পরামর্শক্রমে বিভিন্ন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেঞ্চ ও শিক্ষা উপকরণ বিতরণের জন্য বরাদ্দ রাখা হয়েছিল। বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচির (এডিপি) মোট বরাদ্দ হতে ২০২১-২২ অর্থবছরে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের গরিব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের মাঝে শিক্ষা উপকরণ বিতরণ ও বিদ্যালয়ের প্রয়োজন অনুযায়ী শিক্ষাসামগ্রী বিতরণের জন্য ২ লাখ টাকা বরাদ্দ রাখা হয়েছে।’

তিনি আরও বলেন, মাল্টিমিডিয়া ক্লাস পরিচালনার জন্য ২০২১-২২ অর্থবছরে সীতাকুণ্ডে এডিপি’র মোট বরাদ্দ হতে ২ লাখ টাকা সোনাইছড়ি ত্রিপুরাপাড়া বিদ্যালয়ের ল্যাপটপ ও প্রজেক্টরসহ অন্যান্য সামগ্রী ক্রয়ের জন্য বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে। ২০২১-২২ অর্থবছরে বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় সীতাকুণ্ডের ১৬টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সীমানা প্রাচীর নির্মাণ করা হয়‌।

ব্যক্তি বা প্রাতিষ্ঠানিক অনুদানে সীতাকুণ্ডের ২৪টি বিদ্যালয়ের ৪৪টি শ্রেণিকক্ষ পুননির্মাণ ও সংস্কার করে প্রাক-প্রাথমিক শ্রেণিসহ অন্যান্য শ্রেণির জন্য ব্যবহার উপযোগী ও আধুনিক করা হয়েছে। তিনটি বিদ্যালয়ের মাঠ ভরাট করা হয়েছে। ৯৮টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৩০‌ হাজার ১৪০ শিক্ষার্থীর ড্রেস নিশ্চিত করা ও ১৯ হাজার ৪০০ শিক্ষার্থীকে টিফিনবক্স ও পানির বোতল সরবরাহ করা হয়েছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।

শেখ সালাউদ্দিন/এসআই

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!