গ্র্যান্ড সিকদার—বাহারি নামের এই রেস্টুরেন্টটির অবস্থান নগরের জামালখানে। উপর থেকে ফিটফাট দেখালেও রেস্টুরেন্টটির ভেতরে কিন্তু সদরঘাট। অভিজাতের তকমা নিয়ে গড়ে ওঠা এই হোটেলটিই গ্রাহকদের খাবায় পচা-বাসি খাবার!
বুধবার (২ মার্চ) সকালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের (চসিক) পরিচালিত অভিযানে দেখা যায় এই চিত্র। এজন্য হোটেলটিকে ৬০ হাজার টাকা জরিমানাও করেন চসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী।
অবশ্য জরিমানার এ চিত্র নতুন নয়। এর আগেও লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছিল গ্র্যান্ড সিকদারকে। কিন্তু এরপরও বদলায়নি তাদের গ্রাহক সেবা।
আরও পড়ুন: টিকা সনদ না দেখেই খাবার পরিবেশন—সুলতান ডাইনসহ ৬ রেস্টুরেন্টকে জরিমানা
এখনও হোটেলটি খাবার তৈরি করে অস্বাস্থ্যকর ও নোংরা পরিবেশ। অনেক পণ্যের নেই মেয়াদ কিংবা লেভেল পর্যন্ত। আবার গ্রাহকদের খাবার পরিবেশন করা হোটেলের কর্মচারীদের নেই স্বাস্থ্যসনদও!
যোগাযোগ করা হলে চসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, অস্বাস্থ্যকর, নোংরা পরিবেশে মেয়াদ ও লেভেলবিহীন উপকরণ দিয়ে খাবার তৈরি করছিল গ্র্যান্ড সিকদার রেস্টুরেন্ট। বিভিন্ন অপরাধে তাদের ৬০ হাজার টাকা জরিমানা করে সতর্ক করা হয়েছে।
এর আগে গত বছরের ২৯ আগস্টও জরিমানা খেয়েছিল গ্র্যান্ড সিকদার। সেবারও অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাবার উপকরণ সংরক্ষণ, পোড়া তেলে রান্না, রান্নাঘরের অপরিচ্ছন্ন পরিবেশের কারণে লাখ টাকা জরিমানা করেন চসিকের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আফিয়া আখতার ও স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট জাহানারা ফেরদৌস।
এদিকে একই অভিযানে জামালখান এলাকায় নির্দেশনা অনুযায়ী বাংলায় সাইনবোর্ড না থাকায় র্যাঙ্কস মার্টকে ২ হাজার টাকা এবং ডিউর অপটিক্যালকে ৫শ টাকা জরিমানা করা হয়।
আরও পড়ুন: কুটুমবাড়ি—হান্ডি—কাচ্চি ডাইনসহ নামিদামি রেস্টুরেন্টকে জরিমানা
এছাড়া একইদিন নগরের কদমতলী ও আইস ফ্যাক্টরি রোডে অভিযান পরিচালনা করেন চসিকের স্পেশাল ম্যাজিস্ট্রেট মনীষা মহাজন। অভিযানে নালা ও ফুটপাত দখল করে ব্যবসা পরিচালনা এবং রাস্তায় নির্মাণ সামগ্রী রেখে চলাচলে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টির অপরাধে ১০ ব্যক্তিকে মামলা দিয়ে ৩০ হাজার ৫শ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।
অভিযানে চসিকের সংশ্লিষ্ট বিভাগের কর্মকর্তা-কর্মচারী ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশ সহায়তা করে।
আরবি