সাতকানিয়ায় নির্বাচনে সহিংসতা ছড়ানো ৮ যুবকের কাছে অস্ত্র—গোলাবরুদ

সাতকানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে সহিংসতার ঘটনায় অস্ত্রসহ আরও আটজনকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাব। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩টি একনলা বন্দুক, ১টি দোনলা বন্দুক, ১টি ওয়ান শুটারগান, অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র ও ৪২ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।

সোমবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) রাতে চন্দনাইশ, সাতকানিয়া, বান্দরবান সদর ও ঢাকার তেজকুনীপাড়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করে র‍্যাব-৭ একটি দল।

গ্রেপ্তাররা হলেন- নাসির উদ্দিন (৩১), মো. মোরশেদ (২৬), কোরবান আলী (৩৭), মো. ইসমাঈল (৫৫), মো. জসিম (২৪), মো. মিন্টু (২৬), মো. কায়েস (২২) ও মো. নুরুল আবছার (৩৩)।

আরও পড়ুন: সাতকানিয়ায় নির্বাচন—শেষ রক্ষা হলো না অস্ত্র উঁচিয়ে আতঙ্ক ছড়ানো সেই দুই যুবকের

র‍্যাব সূত্রে জানা যায়, গত ৭ ফেব্রুয়ারি সাতকানিয়া খাগরিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অস্ত্র উঁচিয়ে সহিংসতার ঘটনায় অস্ত্রসহ আরও আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। এদের মধ্যে বান্দরবান সদর এলাকায় অভিযান চালিয়ে নাসির উদ্দিনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

পরে তার দেওয়া তথ্যমতে সাতকানিয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে মোরশেদ, কোরবান আলী ও ইসমাঈলকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩টি একনলা বন্দুক, ১টি দোনলা বন্দুক, ১টি ওয়ান শুটারগান, অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র ও ৪২ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।

একইদিন রাতে চন্দনাইশ এলাকায় অভিযান চালিয়ে জসিম ও মিন্টুকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের তথ্যমতে ঢাকার তেজকুনীপাড়ায় অভিযান চালিয়ে কায়েস ও নুরুল আবছারকে গ্রেপ্তার করা হয়।

বিষয়টি নিশ্চিত করে র‍্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নূরুল আবছার আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, সাতকানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে অস্ত্র উঁচিয়ে সহিংসতার ঘটনায় দুজন নিহত হয়। এ ঘটনায় সাতকানিয়া থানায় কয়েকটি মামলা দায়ের করা হয়।

আরও পড়ুন: সাতকানিয়ায় থেমে থেমে গোলাগুলি, শিশু নিহতের ঘটনায় মামলা—ইউপি মেম্বারকে নিয়ে গেছে পুলিশ

মামলার সূত্র ধরে আসামিদের আটকের জন্য গোয়েন্দা নজরদারি শুরু করে র‍্যাব। একপর্যায়ে গোপন তথ্যের ভিত্তিতে বান্দরবান সদর, সাতকানিয়া, চন্দনাইশ ও ঢাকার তেজকুনীপাড়ায় অভিযান চালিয়ে আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের দেখানো তথ্যমতে ৩টি একনলা বন্দুক, ১টি দোনলা বন্দুক, ১টি ওয়ান শুটারগান, অন্যান্য দেশীয় অস্ত্র ও ৪২ রাউন্ড গোলাবারুদ উদ্ধার করা হয়।

তিনি আরও বলেন, গ্রেপ্তার কায়েসের নেতৃত্বে সাতকানিয়া এলাকায় বিভিন্ন সময় আধিপত্য বিস্তারে সহিংসতা ও হামলা হয়। এরই পরিপ্রেক্ষিতে গত ৭ ফেব্রুয়ারি সাতকানিয়া ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ৩০ থেকে ৪০ জনের একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ অস্ত্র উঁচিয়ে সহিংসতা ও হামলার ঘটনা ঘটায়। গ্রেপ্তার প্রত্যেকের বিরুদ্ধে সাতকানিয়া থানায় বিভিন্ন অপরাধে মামলা রয়েছে। আইনানুগ প্রক্রিয়া শেষে তাদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হবে।

এএইচ/এসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!