সাংবাদিকের ‘কার্ড’ ঝুলিয়েও রেহাই পেল না র‌্যাবের কথিত সোর্স ইমরান

সাংবাদিক ও র‌্যাব পরিচয়ে চাঁদাবাজি, চুরিসহ বিভিন্ন অপরাধের সঙ্গে জড়িত মো. ইমরানকে (২৮) আটক করেছে চট্টগ্রাম নগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।

এর আগে গত ২৮ জুন চট্টগ্রামে দাপিয়ে বেড়াচ্ছে চুরির মামলার আসামি ‘সোর্স’, ইমরানের কোমরে ঝুলে ‘সাংবাদিক’ কার্ডও—শিরোনামে তার অপকর্মের বিরুদ্ধে আলোকিত চট্টগ্রামে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।

রোববার (৩১ জুলাই) তাকে আটক করা হয়েছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে ডিবির (উত্তর) পরিদর্শক আরিফুর রহমান আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, ‘ইমরান নামের একজনকে আটক করেছি। এ বিষয়ে কাজ চলছে। কাজ শেষ হলে পুরো বিষয়ে জানানো হবে।’

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে দাপিয়ে বেড়াচ্ছেন চুরির মামলার আসামি ‘সোর্স’ ইমরান, কোমরে ঝুলে ‘সাংবাদিক’ কার্ডও

আলোকিত চট্টগ্রামের ওই প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, চুরি-ছিনতাই থেকে পেশা বদলে হঠাৎ সাংবাদিক হয়ে যাওয়া ইমরান র‌্যাব-পুলিশের কথিত সোর্সও। এ পরিচয়ে এলাকায় তার বেশ খ্যাতি রয়েছে। র‌্যাবের ক্রসফায়ারের তালিকায় নাম আছে জানিয়ে বেশ কয়েকজন থেকে টাকাও হাতিয়ে নেন তিনি। ক্রসফায়ারের তালিকা থেকে নাম কাটানোর ব্যবস্থা করারও খ্যাতি রয়েছে লোকমুখে। তবে এ বিষয়ে কিছু জানে না র‌্যাব।

ইমরানের বিরুদ্ধে চুরি, ছিনতাই, আধিপত্য বিস্তারে মারামারিসহ নানা অভিযোগ পাওয়া যায়। নগর ও উপজেলার বিভিন্ন থানায় তার বিরুদ্ধে রয়েছে একাধিক মামলা। এরমধ্যে ২০১৬ সালের ২৯ অক্টোবর হাটহাজারী দক্ষিণ ছাদেকনগর এলাকা থেকে দুটি মোটরসাইকেল চুরি করে পালিয়ে যাওয়ার সময় পুলিশের হাতে আটক হন ইমরান। এ সময় তার বিরুদ্ধে হাটহাজারী থানায় চুরির মামলা দায়ের হয়। এ মামলায় তাকে প্রধান আসামি করে ২০১৭ সালের ৬ জুলাই চার্জশিট দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মোল্লা মো. জাহাঙ্গীর কবির।

২০১৭ সালের ২২ ডিসেম্বর ষোলশহর নাজিরপাড়া কবরস্থান এলাকায় জায়গার বিরোধ নিয়ে সাইফুল ইসলাম নামে এক ব্যক্তিকে মারধরের অভিযোগও রয়েছে ইমরানের বিরুদ্ধে। এ সময় সাইফুলের প্রায় দেড় লাখ টাকা মূল্যের মোবাইল ফোন, ঘড়ি ও নগদ টাকা ছিনিয়ে নেন তিনি। এ ঘটনায় নগরের পাঁচলাইশ থানায় তিনজনের নাম উল্লেখ করে এবং ১৫ থেকে ২০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে মামলা হয়। সেই এজাহারে ইমরানকে ৩ নম্বর আসামি করা হয়।

এর আগে ২০১৭ সালের ২৪ জুন পূর্বশত্রুতার জের ধরে মুরাদপুর ১ নম্বর রেলগেট এলাকায় মো. রায়হান (৩৩) নামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে বেতন-বোনাসের টাকা ও মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেন ইমরান এবং তার সহযোগীরা। এ সময় ইমরান ভুক্তোভোগীকে চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে তার দু’হাতে জখম করেন। পরে ছিনতাইয়ের অভিযোগে রায়হান পাঁচলাইশ থানায় চারজনকে আসামি ও চার থেকে পাঁচজনকে অজ্ঞাত দেখিয়ে মামলা দায়ের করেন। মামলায় দুই নম্বর আসামি হিসেবে ইমরানের নাম রয়েছে।

আরএস/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!