সংসদ নির্বাচন—এবার ১৫০ আসনে ইভিএম ব্যবহার হচ্ছে না

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে ২ লাখ নতুন ইভিএম কিনতে ৮ হাজার ৭১১ কোটি টাকার প্রকল্প প্রস্তাব আপাতত অনুমোদন পাচ্ছে না।

সোমবার (২৩ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব জাহাঙ্গীর আলম গণমাধ্যমকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন।

এর আগে রোববার (২২ জানুয়ারি) নির্বাচন কমিশনকে আনুষ্ঠানিকভাবে চিঠি দিয়ে জানায় পরিকল্পনা কমিশন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, নির্বাচন কমিশনের হাতে বর্তমানে দেড় লাখ ইভিএম রয়েছে। এসব ইভিএম দিয়ে ৬০ থেকে ৭০টি আসনে ভোটগ্রহণ সম্ভব। তবে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ১৫০টি আসনে ইভিএমে ভোটগ্রহণে আগ্রহ প্রকাশ করে বর্তমান কমিশন। এজন্য আরও দুলাখ নতুন ইভিএম প্রয়োজন।

আরও পড়ুন: বিএনপি নির্বাচনে আসবেই : আ জ ম নাছির

গত ১৯ অক্টোবার ‘নির্বাচনী ব্যবস্থায় ইলেকট্রনিক ভোটিং মেশিনের (ইভিএম) ব্যবহার বৃদ্ধি এবং টেকসই ব্যবস্থাপনা’ নামে ৮ হাজার ৭১১ কোটি ৪৪ লাখ টাকার প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠায় নির্বাচন কমিশন।

গত বছরের জুলাইয়ে নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে নির্বাচন কমিশনের সংলাপে ২২টি দল ইভিএম নিয়ে তাদের মতামত জানিয়েছিল। এর মধ্যে জাতীয় পার্টিসহ ১৪টি দল নির্বাচনে ইভিএমের ব্যবহার নিয়ে তাদের সংশয়ের কথা জানায়। তবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ৩০০ আসনেই ইভিএমে ভোটের আগ্রহের কথা জানায়।

এরপর ২৩ আগস্ট নির্বাচন কমিশন জানায়, আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের মধ্যে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএমে ভোট গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। তবে এর জন্য আর দুলাখ নতুন ইভিএম কিনতে হবে।

এদিকে নতুন দুলাখ ইভিএম কেনার প্রকল্পটি আপাতত অনুমোদন না পাওয়ায় আগামী নির্বাচনে সর্বোচ্চ ১৫০ আসনে ইভিএমের ব্যবহার সম্ভব হচ্ছে না আর।

এ বিষয়ে নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সচিব জাহাঙ্গীর আলম সাংবাদিকদের বলেন, কমিশনের হাতে যে পরিমাণ ইভিএম আছে সেগুলো আগামী নির্বাচনে ব্যবহার করা হবে।

জেএন/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!