সংকটে চট্টগ্রাম—ওমিক্রন শনাক্তের মেশিন নেই, পরীক্ষাও বেশ ব্যয়বহুল

চট্টগ্রামে গত দুই সপ্তাহের ব্যবধানে করোনা শনাক্তের হার বেড়েছে প্রায় চৌদ্দ গুণ।

এ অবস্থা ‘দ্বিতীয় রাজধানী’ খ্যাত চট্টগ্রামে কারা ওমিক্রন ধরনে আক্রান্ত তা জানার কোনো সুযোগ নেই।

করোনার ওমিক্রন ধরন বের করতে হলে নমুনার জিনম সিকোয়েন্স করতে হয়। যা কেবল ঢাকাতে হয়। এছাড়া এই জিনম সিকোয়েন্স করা ব্যয়বহুল। সেইসঙ্গে পরীক্ষার মেশিনটির দামও কোটি টাকার কাছাকাছি।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, বর্তমানে কারো যদি ওমিক্রন হয়েছে বলে সন্দেহ হয় তাহলে তাদের নমুনা ঢাকার আইইডিসিআরে পাঠাতে হয়। তবে সেখান থেকেও যথাসময়ে ফল আসছে না।

আরও পড়ুন : ওমিক্রন—হাসপাতালে বেশি ভর্তি হচ্ছে শিশু-কম বয়সীরা

ওমিক্রনের জিনম সিকোয়েন্স ব্যয়বহুল জানিয়ে বিআইটিআইডি করোনা ল্যাবের প্রধান অধ্যাপক ডা. শাকিল আহমদ বলেন, একজন রোগীর জিনম সিকোয়েন্স করতে প্রায় ২০ হাজার টাকা খরচ হয়। এছাড়া মেশিনের দামও প্রায় ১ কোটি টাকা। যেটা চট্টগ্রামে নেই। যেভাবে সংক্রমণ বাড়ছে তাতে এ মুহূর্তে এ মেশিন দরকার৷

চট্টগ্রাম সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াছ চৌধুরী বলেন, ওমিক্রন শনাক্ত করতে হলে নমুনার জিনম সিকোয়েন্স করতে হয়। যেটা এখন খুব প্রয়োজন। কিন্তু চট্টগ্রাম জেলায় এমন কোনো মেশিন নেই।

চিকিৎসক ও গবেষকরা জানান, ওমিক্রনে আক্রান্ত হলে গলা শুকিয়ে যাওয়া, সর্দি লাগা, শরীরের জয়েন্টে ব্যথা বা মাথা ব্যথার মতো উপসর্গ থাকবে। আবার অনেক ক্ষেত্রে ওমিক্রন সাধারণ ঠাণ্ডা লাগার মতো।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!