কর্ণফুলী—বাঁশখালীতে ক্ষুধার্ত হাতির হানা, তাড়াতে চায় না বন বিভাগ

চট্টগ্রামজুড়ে শুরু হয়েছে ক্ষুধার্ত বন্য হাতির তাণ্ডব। কর্ণফুলীতে বন্য হাতির দল ভেঙে দিয়েছে তিনটি বসতবাড়ি। অপরদিকে বাঁশখালীর চা বাগানে তাণ্ডব চালিয়ে দুশ্রমিকের ঘর গুঁড়িয়ে দিয়েছে একদল বন্য হাতি।

কর্ণফুলী

কর্ণফুলী উপজেলায় ফের তাণ্ডব চালিয়েছে ক্ষুধার্ত বন্য হাতির দল। এ সময় তিনটি বসতবাড়ি ভেঙ্গে দেয় হাতির দল। শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) ভোরে উপজেলার বড়উঠান ইউনিয়নে দলিবাপের বাড়ির মোহাম্মদ হাশেম, আবদুল মান্নান ও নাজিম উদ্দিনের বসতবাড়িতে বন্য হাতির দলটি আক্রমণ করে।

এর আগে গত মঙ্গলবার (৮ ফেব্রুয়ারি) ওই এলাকায় হাতির তাণ্ডবে দুই যুবক আহত হন। এছাড়া বেশকিছু বাড়িঘর ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

আরও পড়ুন: দলছুট বন্য হাতি বেপরোয়া—পিষে মারল ভিলেজারকে, ফিরছে না বনে

এদিকে ক্ষতিগ্রস্ত মোহাম্মদ হাশেম জানান, হাতির দলটি ঘর ভেঙে দেওয়ার পর কেইপিজেডের পাহাড়ের দিকে চলে যায়।

বড় উঠান ইউনিয়ন পরিষদের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য সাজ্জাদ খান সুমন জানান, বেশ কয়েক বছর ধরে কেইপিজেডের পাহাড়ে অবস্থান নেওয়া বন্য হাতির দলটি খাবারের খোঁজে এসে কৃষকের ধান, বিভিন্ন ফসল ক্ষেত নষ্টসহ বসতবাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত করছে। আজ (শনিবার) ভোরে বড়উঠানের দলিবাপের বাড়ির মো. হাশেম, আবদুল মান্নান ও নাজিম উদ্দিনের ঘর ভাঙচুর ও ফসলি ধান নষ্ট করে।

কর্ণফুলী উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শাহিনা সুলতানা আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, পাহাড়ে অবস্থান নেওয়া হাতিগুলোর বিষয়ে বন বিভাগ ও ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।

বাঁশখালী

বাঁশখালীর চা বাগানে তাণ্ডব চালিয়ে দুশ্রমিকের ঘর গুঁড়িয়ে দিয়েছে ক্ষুধার্ত একদল বন্য হাতি। শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) রাত ২টার দিকে চাঁনপুর-বৈলগাঁও চা বাগানের রংপুর টিলায় হঠাৎ একদল বন্য হাতি ঢুকে পড়ে তাণ্ডব শুরু করে। এ সময় শ্রমিকদের মধ্যে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

চা বাগান কর্তৃপক্ষ স্থানীয় বন বিভাগকে বিষয়টি অবহিত করলেও তারা কোনো ব্যবস্থা নেয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।

আরও পড়ুন: আনোয়ারায় রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছে বন্য হাতির দল

চা বাগানের শ্রমিকরা জানান, শুক্রবার রাত ২টায় চা বাগানের রংপুর টিলা নামক স্থানে একদল বন্য হাতি ঢুকে পড়ে। ওই সময় হাতির তাণ্ডবে শ্রমিকদের ঘুম ভাঙলে পরিবার-পরিজন নিয়ে চা বাগানের বিভিন্ন পাহাড়ে ছুটাছুটি শুরু করে। এ অবস্থায় হাতির দল প্রথমে শ্রমিক জসিম উদ্দিনের ঘর ও পরে গেদু মিয়ার ঘর ভেঙে দেয়।

চা বাগানের ব্যবস্থাপক মো. আবুল বাশার বলেন, চা বাগানে হাতির আক্রমণ ও বিচরণ সর্ম্পকে বন কর্মকর্তাকে জানানোর পরও কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি। ফলে চা বাগানের কর্মকর্তা ও শ্রমিকরা হাতি আতঙ্কে রয়েছে।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে কালীপুর রেঞ্জের সাধনপুর বনবিট কর্মকর্তা মো. দেলোয়ার হোসেন আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, চা বাগান এলাকায় আশ্রয় নেওয়া হাতির দলটিকে আমরা তাড়াতে চাই না। হাতির দল যাতে শ্রমিকদের ওপর হামলা না করে সেজন্য কী করা যায় তা নিয়ে ভাবা হচ্ছে।

ইমরান/উজ্জ্বল/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!