শোধরায়নি ‘ওয়েল ফুড’—এবার ছানার মিষ্টির নামে ধরিয়ে দিল ‘পচা মিষ্টি’

নামিদামি খাবার প্রতিষ্ঠান ওয়েল ফুড। প্রতিদিন মিষ্টি থেকে শুরু করে হরেক রকমের খাবার বিক্রি হয় প্রতিষ্ঠানটির বিভিন্ন শাখা থেকে। কিছুদিন আগে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণের অভিযানে বড় অঙ্কের জরিমানা করা হয় ওয়েল ফুডকে। কিন্তু এর পরও শোধরায়নি প্রতিষ্ঠানটি। এবার ছানার মিষ্টির নামে গ্রাহককে ‘পচা মিষ্টি’ ধরিয়ে দিয়েছে ওয়েল ফুড!

পচা মিষ্টি দেওয়ার এ অভিযোগ ওয়েল ফুড আন্দরকিল্লা শাখার বিরুদ্ধে। বৃহস্পতিবার (৬ অক্টোবর) ভুক্তভোগী ক্রেতা অনুপম চৌধুরী এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করেন।

‘ফুড গাইড চট্টগ্রাম ডিভিশন’ নামে ফেসবুক গ্রুপে অনুপম চৌধুরী লেখেন— দশমীর জন্য আন্দরকিল্লা শাখার ওয়েলফুড থেকে বুধবার রাত সাড়ে ৮টার সময় মিষ্টি কিনি। কিন্তু মিষ্টিগুলো নষ্ট ছিল। সেদিন জাতীয় গ্রিডে সমস্যার কারণে ফ্রিজার বন্ধ থাকায় হয়ত মিষ্টিগুলো নষ্ট কিংবা আগে থেকেই নষ্ট ছিল। মিষ্টিগুলো ফেলে না দিয়ে সেগুলো বিক্রি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। পরবর্তীতে ওয়েল ফুডের অফিসিয়াল পেইজে কমেন্ট করলে তারা দেখি তা ডিলিট করে দিয়েছে। সমস্যা সমাধান না করে তারা আমার কমেন্ট ডিলেট করে দিয়েছে।

যোগাযোগ করা হলে অনুপম চৌধুরী আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, নামিদামি ব্র‍্যান্ড ওয়েল ফুডের পণ্য ভালো হবে ভেবেই কিনতে গিয়েছিলাম। আমি যখন গিয়েছিলাম তখন ছানার মিষ্টিগুলো শেষের পথে। যা ছিল পুরোটাই আমি নিয়ে নিয়েছিলাম। ওয়েল ফুডের শাখা থেকে আমার বাসা দেওয়ানবাজার ১৫ মিনিটের দূরত্ব। বাসায় গিয়ে মিষ্টিগুলো ফ্রিজে রাখি। পরদিন (বুধবার) যখন মিষ্টিগুলো খেতে যাই দেখি সেগুলো টক অর্থাৎ নষ্ট।

তিনি বলেন, পচা মিষ্টির বিষয়ে ওয়েল ফুড অফিসে যোগাযোগ করলে তারা আর এমন হবে না বলে আশ্বাস দেন। অথচ আমি যখন ওয়েল ফুডের অফিসিয়াল পেইজে কমেন্ট করি তা ডিলিট করে দেওয়া হয়! এদিকে আমি হেড অফিসে যোগাযোগ করলে তারা আমাকে চট্টগ্রাম অফিসে যোগাযোগ করতে বলেন।

অনুপম চৌধুরী বলেন, ফেসবুকে পোস্ট করার পর তারা আমার সাথে নিজ থেকে এখন যোগাযোগ করেছে। তারা এ ঘটনার জন্য দুঃখ প্রকাশ করে এখন মিষ্টি রিটার্ন করার কথাও বলছে।

এদিকে অভিযোগের বিষয়ে ওয়েল ফুডের আন্দরকিল্লা শাখায় যোগাযোগ করা হলে ‘রং নাম্বার’ বলে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করে দেওয়া হয়। কিন্তু অনুসন্ধানে প্রতিবেদক নিশ্চিত হন নম্বরটি সঠিক ছিল।

যোগাযোগ করা হলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ চট্টগ্রাম জেলার সহকারী পরিচালক আনিসুল ইসলাম আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, ওয়েল ফুডের মতো একটা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে আমরা এটা আশা করিনি। তাদের ওপর গ্রাহকদের দীর্ঘদিনের একটা আস্থা ছিল। কিছুদিন আগেও আমরা ওয়েল ফুডে অভিযান চালিয়ে অপরাধের দায়ে দেড় লাখ টাকা জরিমানা করেছি। তারা আমাদের কথা দিয়েছিল এ ধরনের অপরাধ আর কখনো করবে না। আপনি যে বিষয়টি নিয়ে বললেন, আমরা সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে অবশ্যই এ বিষয়ে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ করব।

এসআই/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!