লামায় ট্রিপল মার্ডার—পরিবারের দাবি লুটপাট, পুলিশের চোখ অন্য দিকে, আটক ৬

লামায় চাঞ্চল্যকর ট্রিপল মার্ডারের ক্লু খুঁজতে মরিয়া পুলিশ। নিহতের পরিবারের দাবি, লুটপাট করতেই এ হত্যাকাণ্ড। তবে শুধুমাত্র লুটপাটের কারণেই হত্যাকাণ্ড- এমনটি মানতে নারাজ পুলিশ। হত্যাকাণ্ডের আসল রহস্য বের করতে ইতোমধ্যে ৬ জনকে আটক করেছে তারা।

এর আগে শনিবার (২২ মে) দুপুরে নিহত মাজেদা বেগমের মা লালমতি খাতুন বাদী হয়ে হত্যা মামলা দায়ের করেন। এর পরপরই জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ওই ছয়জনকে আটক করে পুলিশ

তারা হলেন- নিহত মাজেদা বেগমের স্বামী নুর মোহাম্মদের ছোট ভাই আবদুল খালেক ও শাহ আলম, মাজেদা বেগমের বড় বোন রাহেলা বেগম ও তার স্বামী আবদুর রশিদ, হাফেজ সাঈদুর রহমান ও স্থানীয় দোকানদার রবিউল ইসলাম।

এদিকে মরদেহ উদ্ধারের পর পুলিশ নুর মোহাম্মদের বসতবাড়ির প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে রেখেছে। পরিবারের সদস্যদের দাবি, টাকা-স্বর্ণালঙ্কার লুটের জন্য এ খুনের ঘটনা ঘটেছে। মরদেহ উদ্ধারের সময় ঘরের আলমিরা এবং ওয়ারড্রব ভেঙে টাকা পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার লুটের প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। তবে সন্ধ্যায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত হত্যাকাণ্ডের কোনো ক্লু উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।

নুর মোহাম্মদের মেয়ে রাবেয়া ইয়াছমিন সাংবাদিকদের বলেন, তার মা গত বৃহস্পতিবার ব্যাংক থেকে দুই লাখ টাকা উত্তোলন করেছিল।

নিহত মাজেদা বেগমের শাশুড়ি ছকিনা খাতুন (৬৫) বলেন, তাদের ঘরে আনুমানিক ১০ থেকে ১২ ভরি স্বর্ণালঙ্কার ছিল। টাকা-পয়সা ও স্বর্ণালঙ্কার লুট করতেই এ হত্যাকাণ্ড হয়েছে বলে তিনি মনে করেন।

এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে লামা থানার অফিসার ইনচার্জ মো. মিজানুর রহমান আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, ট্রিপল মার্ডারের ঘটনায় এখনো কোনো ক্লু পাওয়া যায়নি। বিভিন্ন বিষয় সামনে রেখে তদন্ত চলছে। নিহতদের মরদেহ ময়নাতদন্তের জন্য বান্দরবান মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় নিহত মাজেদা আক্তারের মা বাদী হয়ে অজ্ঞাতদের আসামি করে মামলা দায়ের করেছেন। মামলাটি পুলিশের হাতে থাকলেও তদন্তে সহযোগিতা করছে পিবিআই ও র‌্যাব-১৫।

এদিকে বান্দরবান র‌্যাবের কোম্পানি কমান্ডার এএসপি নিত্যানন্দ দাশ আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, পুলিশ ও পিবিআই’র পাশাপাশি আমরাও ঘটনার ছায়াতদন্ত করবো। আমরা যাদের সন্দেহ করেছি তাদের অনেককে পুলিশ আটক করেছে। আশা করছি দুই-একদিনের মধ্যে আমরা কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারবো।

প্রসঙ্গত, শুক্রবার (২১ মে) রাত সাড়ে ৯টার দিকে লামা পৌরসভার চাম্পাতলী গ্রামের কুয়েত প্রবাসী নুর মোহাম্মদের বসতঘর থেকে তার স্ত্রী ও দুই মেয়ের লাশ উদ্ধার করে পুলিশ।

ডিসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!