লাগামহীন শনাক্ত, লাশের মিছিল, শিথিল বিধিনিষেধ—কী হবে চট্টগ্রামের

কঠোর বিধিনিষেধ শিথিল হওয়ার ঘোষণা অনেক আগেই দেওয়া হয়েছে। তবে ‘বিধিনিষেধ শিথিল’ কার্যকর হওয়ার আগে (বুধবার রাত ১২টা) থেকেই নগরজুড়ে বেড়ে গেছে মানুষের যাতায়ত। জনস্রোত নেমেছে কোরবানির হাটে।

অথচ চট্টগ্রামে থামছে না করোনায় মৃত্যুর মিছিল। শুধু দুদিনে কাঁধে উঠেছে ২০ করোনা রোগীর লাশ।

আবার চট্টগ্রামে করোনা রোগীও বাড়ছে হু হু করে। কোনোভাবেই লাগাম টানা যাচ্ছে না করোনার। একদিন আগে হাজার ছুঁই ছুঁই করা করোনা রোগী সর্বশেষ ২৪ ঘণ্টায় হয়েছে সহস্রাধিক।

গত ২৪ ঘণ্টায় চট্টগ্রামের ২ হাজার ৮৬৯ নমুনা পরীক্ষায় করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ১ হাজার ৩ জন। চট্টগ্রামের ইতিহাসে একদিনে এত করোনা রোগী পাওয়া যায়নি। আবার এই একদিনেই মারা গেছেন ১০ করোনা রোগী।

এর আগেরদিন ২ হাজার ৬৪৯ নমুনা পরীক্ষায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ৯৫৫ জন। সেদিনও চট্টগ্রামে ১০ করোনা রোগীর মৃত্যু হয়েছিল।

একদিকে লাগামহীন শনাক্ত ও মৃত্যু, অন্যদিকে শিথিল লকডাউন—সবমিলিয়ে কঠিন অবস্থায় চট্টগ্রাম। এমন পরিস্থিতিতে শঙ্কার কথাই শুনিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, করোনা সংক্রমণে বর্তমানে ‘পিক’ চলছে চট্টগ্রামে। এরপরও ঈদুল আজহার কথা বিবেচনায় রেখে সরকার বিধিনিষেধ শিথিল করেছে। কিন্তু করোনার এই কঠিন সময়ে যদি স্বাস্থ্যবিধি যথাযথভাবে অনুসরণ করা না হয় তাহলে পরিস্থিতি ‘ভয়াবহ’ হবে।

বুধবার (১৪ জুলাই) নগরজুড়ে ছিল মানুষের ভিড়। অনেকের মুখেই ছিল না মাস্ক। এদিন পুরুষের পাশাপাশি অসংখ্য নারীকেও দেখা গেছে নিশ্চিন্তে ঘুরে বেড়াতে।

আবার শিথিল লকডাউন কার্যকরের আগেই খোলা দেখা গেছে অসংখ্য দোকান। অনেক হোটেল-রেস্টুরেন্টে দেখা গেছে চেয়ারে বসিয়ে খাবার পরিবেশন করতে। রাস্তায় রাস্তায় সাধারণ মানুষের চলাফেরা দেখে বোঝার উপায় নেই চট্টগ্রাম করোনা সংক্রমণের কঠিন পরিস্থিতিতে রয়েছে।

এ ব্যাপারে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে চট্টগ্রামের সিভিল সার্জন সেখ ফজলে রাব্বি আলোকিত চট্টগ্রাম বলেন, আমাদের অবশ্যই স্বাস্থ্যবিধি মানতে হবে। তা না হলে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!