নগরে র্যাব পরিচয়ে প্রতারণা করা সংঘবদ্ধ চক্রের মূল হোতাসহ ছয়জনকে আটক করেছে র্যাব-৭।
শনিবার (২ জুলাই) গণমাধ্যমকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার। এ সময় তাদের কাছ থেকে প্রতারণার ৭০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
আটকরা হলেন- মো. রুবেল হোসেন (৩৬), মো. মানিক হোসেন (৩৮), মো. নজরুল ইসলাম (৪৫), মো. মিজানুর রহমান (৩৪), মো. নীরব (২১) ও আবু তৈয়ব সিদ্দিকী ওরফে মিঠু (৪৯)।
আরও পড়ুন: প্রতারণার টাকায় আবিরের বিলাসী জীবন
জানা যায়, গত ২৬ জুন জাল দলিলের স্ট্যাম্প মজুদ ও বিক্রির দায়ে মো. ইদ্রিস পাটোয়ারী (৫৫) নামের একজনকে আটক করে র্যাব-৭। এ ঘটনার পর রুবেল হোসেন নামের একজন র্যাব পরিচয় দিয়ে তার স্ত্রীর মোবাইলে ফোন করে ৫ লাখ টাকা দাবি করেন। এই টাকা দিলে ইদ্রিস পাটোয়ারীকে ছেড়ে দেওয়া হবে বলে জানায়। এসময় ইদ্রিসের স্ত্রী ৭০ হাজার টাকা দিতে রাজি হন। তিনি রুবেলের পৃথক ৫টি বিকাশ নম্বরে ৭০ হাজার টাকা পাঠান।
পরদিন (২৭ জুন) ইদ্রিস পাটোয়ারীর স্ত্রী র্যাবের হাটহাজারী ক্যাম্প ও ডবলমুরিং থানায় খবর নিয়ে জানতে পারেন তার স্বামীর নামে থানায় মামলা হয়েছে। তখনই রুবেলের প্রতারণার বিষয়টি বুঝতে পেরে তিনি র্যাবকে জানান।
এ বিষয়ে র্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) মো. নুরুল আবছার বলেন, আটক মো. রুবেল হোসেন ও মো. মানিক হোসেন বিভিন্নজনকে মামলা থেকে রক্ষা করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে প্রতারণা করতেন। বিষয়টি অনুসন্ধান করে সত্যতা পাওয়ার পর শুক্রবার (১ জুলাই) ভোরে বায়েজিদ থানা এলাকা থেকে প্রতারক চক্রের মূল হোতা মো. রুবেল হোসেনসহ ৬ জন আটক করা হয়। এসময় তাদের কাছ থেকে ৭০ হাজার টাকা পাওয়া যায়।
তিনি বলেন, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা দীর্ঘদিন ধরে এভাবে প্রতারণা করছিল বলে স্বীকার করে। এছাড়া আটক মানিক হোসেন খুলশী থানায় একটি মাদক মামলার এজাহারভুক্ত পলাতক আসামি। আটকদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
জেএন/এসআর