কোটিপতি ইয়াবা ব্যবসায়ী নুর আলম, রোহিঙ্গা হয়েও বাঙালি সেজে ঠাঁই নিল রউফাবাদে

১৯৯০ সালে মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে আসেন রোহিঙ্গা নুর আলম। এসে জড়িয়ে পড়েন মাদক কারবারে। রাতারাতি বনে যান বিপুল অর্থের মালিক। কৌশলে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে হয়েছেন জমির মালিক। রয়েছে মোটা অঙ্কের ব্যাংক ব্যালেন্স। বাংলাদেশি নাগরিক পরিচয়ে পরিবার নিয়ে বসবাস করছিলেন নগরে। কিন্তু পরিচয় গোপন করে শেষ রক্ষা হলো না। সাড়ে চার হাজার ইয়াবা, নগদ টাকা, স্বর্ণালঙ্কারসহ ধরা খেয়ে এখন তার ঠাঁই হয়েছে কারাগারে।

সোমবার (২৭ জুন) রাতে নগরের বায়েজিদ বোস্তামী হাটহাজারী রোড পশ্চিম শহীদনগর জানে আলম টাওয়ারের পঞ্চম তলার বাসা থেকে নুর আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়। একই সময়ে তার স্ত্রী হাছিনা বেগম ও সম্বন্ধীর স্ত্রী হাছিনা বেগম প্রকাশ মিনোয়ারা প্রকাশ মুন্নিকেও (২৬) গ্রেপ্তার করা হয়।

মহানগর গোয়েন্দা বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (উত্তর) মু. আলী হোসেন আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বায়েজিদ এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের ঘরের বিভিন্ন ফার্নিচারের আড়ালে লুকিয়ে রাখা সাড়ে ৪ হাজার ইয়াবা উদ্ধার করা হয়। এসময় নগদ দেড় লাখ টাকা, বিভিন্ন ব্যাংকের চেক বই, ১০টি স্বর্ণের চুড়ি, ৬টি আংটি, ১টি চেইন লকেট এবং ১ জোড়া কানের দুল উদ্ধার করা হয়।

আরও পড়ুন: ভোটার তালিকা হালনাগাদে রোহিঙ্গাদের বিষয়ে সতর্ক থাকতে হবে : জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান

উপপুলিশ কমিশনার আরও বলেন, নূর আলম ও তার স্ত্রী হাছিনা বেগম মিয়ানমারের নাগরিক। তার বাবা-মা, ভাই-বোন বালুখালী রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বসবাস করেন। ১৯৯০ সালে মিয়ানমার থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে এসে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন নুর আলম। মাদক কারবারে জড়িয়ে বনে গেছেন বিপুল অর্থবিত্তের মালিক। এছাড়া তার বিরুদ্ধে কক্সবাজার জেলার রামু থানায় মানব পাচারের মামলাও রয়েছে।

তিনি বলেন, নূর আলম মাদক ব্যবসার পরিধি বাড়াতে বন্দরনগরী চট্টগ্রামে পাড়ি জমান। ২০০৭ সালে কৌশলে জাতীয় পরিচয়পত্র তৈরি করে বাংলাদেশের নাগরিক হয়ে যান। নিজের নামে রউফাবাদ এলাকায় কিনেন আড়াই গণ্ডা জমি। বিভিন্ন ব্যাংকে রয়েছে মোটা অঙ্কের টাকা। বায়েজিদ থানায় তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা রয়েছে। বর্তমানে নগরে অবস্থান করে বিভিন্ন মাদক কারবারিকে নিয়ন্ত্রণ করছিলেন তিনি। এছাড়া নগরসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে মাদক সরবরাহ করার স্বীকার করেছেন নূর আলম।

তিনি আরও বলেন, নুর আলমসহ গ্রেপ্তার সবাইকে নগরের বায়েজিদ বোস্তামি থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে মাদক আইনে মামলা করা হয়েছে।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!