রোকসানার লাশ ড্রেনে ফেলে রাঙ্গুনিয়ায় লুকিয়ে ছিল সোহেল-জহির

রাউজানে গৃহবধূ রোকসানা হত্যা মামলার আরও ২ আসামিকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব।

রোববার (১ জানুয়ারি) রাতে রাঙ্গুনিয়ার ইমামনগর এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

সোমবার (২ জানুয়ারি) বিকেলে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার।

গ্রেপ্তাররা হলেন- রাঙ্গুনিয়ার কদলপুর এলাকার মৃত লাল মিয়ার ছেলে মো. সোহেল (৩০) ও গশ্চি এলাকার ছগির আহম্মদের ছেলে মো. জহির (৩০)।

আরও পড়ুন: কর্ণফুলীতে বাবার লাশ অ্যাম্বুলেন্সে রেখেই ৫০ লাখ টাকা ভাগবাটোয়ারায় সন্তানেরা

র‌্যাব জানায়, গৃহবধূ রোকসানা আক্তার (২৮) তার স্বামী আজম ও তিন সন্তান নিয়ে রাউজান উপজেলায় বসবাস করতেন। দীর্ঘদিন ধরে স্বামী এবং শ্বশুরবাড়ির লোকজন টাকার জন্য তাকে নির্যাতন করছিল।

গত ২৭ নভেম্বর রোকসানার মা-বাবা জানতে পারেন, স্বামীর বাড়ি থেকে নিখোঁজ তাদের মেয়ে। এরপর গত ১ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় শ্বশুরবাড়ির সীমানা দেয়ালের পাশের ড্রেন থেকে রোকসানার অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এসময় রোকসানাকে শ্বশুরবাড়ির লোকজন হত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয় পুলিশ।

পরে স্বামী আজমকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। এরপর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন তিনি। স্বামী সোহেল গলা টিপে হত্যা রোকসানাকে খুন করে এবং জহির ও আজম লাশ ড্রেনে নিয়ে লুকিয়ে রাখে।

এ বিষয়ে র‌্যাব-৭ এর সিনিয়র সহকারী পরিচালক মো. নুরুল আবছার বলেন, রোকসানাকে হত্যার পর আসামিরা আত্মগোপনে চলে যায়। গত রোববার রাতে রাঙ্গুনিয়ার ইমামনগর এলাকা থেকে সোহেল ও জহিরকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে আসামিদের সংশ্লিষ্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়।

এনইউএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!