রেলের টিকিট কালোবাজারিতে এবার ‘নতুন কৌশল’

রেলের টিকিটের জন্য জাতীয় পরিচয়পত্র বাধ্যতামূলক করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে কর্তৃপক্ষের এ উদ্যোগের পরেও থামানো যাচ্ছে না টিকিট কালোবাজারিদের। তারা নতুন কৌশলে কেটে রাখা টিকিট রিফান্ডের পর যাত্রীর পরিচয়পত্র ও মোবাইল নম্বর দিয়ে নতুন টিকিট কেটে দেন।

অনুসন্ধানে জানা যায়, ১ মার্চ থেকে ‘টিকিট যার ভ্রমণ তার’ নীতির কারণে কালোবাজারি কিছুটা রোধ হয়। তবে এরপর কালোবাজারিরা নতুন কৌশল অবলম্বন করেছেন। তারা প্রতিদিন চট্টগ্রাম রেলস্টেশন কাউন্টার থেকে টিকিট কেটে রাখেন। তারপর এসব টিকিট নিয়ে স্টেশনে ঘুরেন দালালেরা। যাত্রীর খোঁজ পেলে দরদামের পর টিকিট রিফান্ড করেন। পরে সেই যাত্রীর জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল নম্বর দিয়ে নতুন টিকিট কেটে দেন তারা। ফলে অনবোর্ড টিকিট চেকিংয়েও তাদের ধরা সম্ভব হয় না। এছাড়া নতুন নিয়মে টিকিটের মেয়াদ ১০ দিন করায় কালোবাজারিরা আরো বেপরোয়া হয়ে উঠেছে।

এদিকে এসব কালোবাজারির সঙ্গে টিকিট ক্লার্ক ও সহজ অ্যাপসের কতিপয় অসাধু কর্মচারীর যোগসাজশ রয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এক্ষেত্রে জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল নম্বর চিহ্নিত করে সহজে কালোবাজারি রোধ সম্ভব বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।

দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে সহজ চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশনের সিস্টেম ইঞ্জিনিয়ার মো. কাউসার বলেন, নির্দিষ্ট জাতীয় পরিচয়পত্র ও মোবাইল নম্বর চিহ্নিত করা সম্ভব। তবে তা ঢাকা থেকে করতে হবে। আমরা কিছুই করতে পারি না। আমরা কেবল অপারেট করতে পারি।

যোগাযোগ করা হলে বিভাগীয় বাণিজ্যিক কর্মকর্তা ইতি ধর আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, যতই নিয়ম করা হোক না কেন নৈতিকতা না থাকলে চুরি রোধ করা সম্ভব নয়। আগে আমাদেরকে নৈতিকতা শিখতে হবে। যাত্রীদের সুবিধার জন্য নতুন নিয়ম চালু করা হয়েছে। এখন কালোবাজারিরা চুরির নতুন পথ বের করল। তাই আমরা শুদ্ধ না হলে কোনো নিয়ম কাজে আসবে না।

এসআই/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!