রেলওয়েমেন্স স্টোরস নির্বাচন—দিনভর নাটকীয়তার পর্দা নামল শেষ রাতে

দিনভর জাল ভোট, মারামারি, শেষ রাতে ফলাফল ঘোষণার মধ্যদিয়ে শেষ হলো রেলওয়েমেন্স স্টোরস নির্বাচন। নির্বাচনে শেখ জামাল আহমেদ প্রথম, মো. জিয়াউর রহমান দ্বিতীয় হন। শুক্রবার (২২ জুলাই) নগরের পলোগ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত হয় এ নির্বাচন।

জানা যায়, ছবি ছাড়া ভোটার তালিকা, প্রার্থীর এজেন্টকে ভোটকক্ষে না রাখা ও অস্বচ্ছ ব্যালট বাক্স নিয়ে শুরু থেকে নির্বাচন নিয়ে প্রার্থী ও ভোটারদের মাঝে শঙ্কা ছিল। নির্বাচনের দিন জাল৷ ভোট দেওয়ার চেষ্টা, মারামারি ও ফলাফল ঘোষণায় অনিয়ম দেখা যায়। এদিন সকাল ১০টা থেকে ভোট শুরুর পর থেকেই উত্তাপ ছড়িয়ে পড়ে।

তবে বিকেল ৪টার দিকে জানালী হাট রেলস্টেশন মাস্টার আবদুস সালাম ভূঁইয়া ও বিভাগীয় ট্রেন কন্ট্রোলার (ডিটিএনএল) সাইদ হোসেন খোকন জোর করে জাল ভোট দিতে গেলে মহসিন গ্রুপের সঙ্গে মারামারি লাগে। এ সময় উভয়পক্ষের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া শুরু হয়। পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হস্তক্ষেপে তা বন্ধ হয়।

বিকেল ৫টার দিকে ভোট সংগ্রহ শেষ হলেও রাত ৯টার দিকে ফলাফল ঘোষণা করা হয়। কিন্তু গণনায় অনিয়মের অভিযোগ করে জিয়াউর রহমান ও কামরুল হাসান তা প্রত্যাখ্যান করে পুনরায় গণনার দাবি জানান। দাবির মুখে রাত ১২টার দিকে ফের ফলাফল ঘোষণা করা হয়। এবারেও তারা প্রত্যাখ্যান করে পুনরায় গণনার দাবি জানান। পরে তাদের দাির মুখে তৃতীয়বারের মতো গণনা শেষে রাত সাড়ে ৩টার দিকে ফলাফল ঘোষণা করা হয়।

নির্বাচনে মোট ভোটার ছিলেন ৫ হাজার ১৮৮ জন (একজন সর্বোচ্চ ১৫ হাজার টাকা শেয়ারে ৬শ ভোট দিতে পারেন)। এতে কর্মকর্তা ক্যাটাগরিতে একজন এবং কর্মচারী ক্যাটাগরিতে দুজন পরিচালক নির্বাচিত হন।

এবারের নির্বাচনে পরিচালক পদে কর্মকর্তা ক্যাটাগরিতে ৩ জন এবং কর্মচারী ক্যাটাগরিতে ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

এদিকে কর্মকর্তা ক্যাটাগরিতে পরিচালক পদে সিপিও মনির হোসেন বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হলেও কর্মচারী ক্যাটাগরিতে ৫ জন প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন। এদের মধ্যে সিআরবি চট্টগ্রামের অ্যাকাউন্টেন্ট শেখ জামাল আহমেদ ২ লাখ ৬০ হাজার ২৪৪ ভোট পেয়ে বই প্রতীক নিয়ে প্রথম হন।

এছাড়া পাহাড়তলীর অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার অপারেটর (সিসিএস) মো. জিয়াউর রহমান ২ লাখ ১৬ হাজার ১৫০ ভোটে আম প্রতীক নিয়ে দ্বিতীয় হন। এছাড়া মো. কামরুল হাসান চেয়ার প্রতীকে ২ লাখ ১৪ হাজার ৪০৮ ও মো. মনজুরুল করিম রেলগাড়ি প্রতীকে ১ লাখ ৫১ হাজার ৩৩২ ভোট পান। মোট ভোট সংগ্রহের সংখ্যা ছিল ১০ লাখ ৩ হাজার ৩০৩।

সিএম/আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!