রাশিয়ার হামলা শুরু—মুহুর্মুহু বিস্ফোরণে প্রকম্পিত ইউক্রেন

ইউক্রেনের রাজধানী কিয়েভে দফায় দফায় বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। পূর্ব ইউরোপের এই দেশটিতে রাশিয়ার হামলার জোরালো আশঙ্কার মধ্যেই কিয়েভে বিস্ফোরণের খবর সামনে এলো। এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে বিবিসি।

বিবিসি জানিয়েছে, কিছুক্ষণ আগে সেখানে পাঁচ থেকে ছয়টি বিস্ফোরণের শব্দ শুনা গেছে। কিয়েভ থেকে সরাসরি সম্প্রচারিত হওয়া মার্কিন গণমাধ্যম সিএনএন’র একটি অনুষ্ঠানেও বিস্ফোরণের শব্দ শুনতে পাওয়া গেছে। ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলে রুশপন্থি বিচ্ছিন্নতাবাদীদের নিয়ন্ত্রিত এলাকা ছাড়াও দেশের অন্যান্য স্থান থেকে বিস্ফোরণের খবর পাওয়া যাচ্ছে।

বিবিসির সংবাদদাতারা এর আগে নিশ্চিত করেছিলেন, তারা রাজধানী কিয়েভের পাশাপাশি দোনেতস্ক অঞ্চলের ক্রামাতোরস্ক এলাকায়ও বিকট শব্দ শুনেছেন। এর আগে বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউক্রেনের ডনবাস অঞ্চলে সামরিক অভিযানের ঘোষণা দেন।

আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রেই মানবাধিকারের চরম লঙ্ঘন হয় : তথ্যমন্ত্রী

জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদ পুতিনকে আগ্রাসন বন্ধ করতে অনুরোধ জানানোর পরপরই এক টেলিভিশন ভাষণে পুতিন ডনবাসে অভিযানের ঘোষণা দেন। টেলিভিশন ঘোষণায় পুতিন ইউক্রেন সেনা সদস্যদের অস্ত্র ফেলে দিয়ে ঘরে ফিরে যাওয়ার অনুরোধ জানান। এ সময় তিনি ইউক্রেন সরকারকে সতর্ক করে দিয়ে বলেন, কোনো রক্তপাত হলে তার জন্য তারাই দায়ী হবে।

পুতিন বলেন, রাশিয়া এবং ইউক্রেনীয় বাহিনীর মধ্যে সংঘাত অনিবার্য। পূর্ব ইউক্রেনের যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেনের যেসব সেনা সদস্য রয়েছেন তারা অস্ত্র ফেলে দিয়ে যেন ঘরে ফিরে যান।

আরও পড়ুন: পুলিশ যাওয়ার পরপরই হামলা, কিরিচের কোপে তিন নারীসহ রক্তাক্ত ৪

এর আগে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভোলোদিমির জেলেনস্কি রাশিয়া বড় যুদ্ধের সূচনা করতে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেন। বুধবার রাতে টেলিভিশনে দেওয়া এক ভাষণে তিনি বলেন, রাশিয়া ইউক্রেনের সীমান্তে প্রায় ২ লাখ সৈন্য এবং হাজার হাজার যুদ্ধযান জমা করেছে। অন্য দেশের ভূখণ্ডে এই পদক্ষেপে ইউরোপ মহাদেশে একটি বড় যুদ্ধের সূচনা হতে পারে।

তিনি বলেন, ইউক্রেন শান্তি চায়। তবে যদি তারা (রাশিয়া) আক্রমণ করে, যদি তারা আমাদের স্বাধীনতা, শিশুদের জীবন কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করে আমরা নিজেদের রক্ষা করব।

এসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!