রাউজানে নদী-খাল-দিঘির পাড়ে পাখি আর পাখি

রাউজানে শীতের মৌসুমের শুরুতেই বিভিন্ন দিঘিতে আসতে শুরু করেছে অতিথি পাখির দল। পাখির কিচির-মিচির শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে ওই এলাকা। আর এসব পাখি দেখতে আসছেন বিভিন্ন শ্রেণি-প্রেশার মানুষ।

উপজেলার ১৫ নং নোয়াজিশপুর ইউনিয়নের আবদুল অদুদ চৌধুরী সড়কের পাশে ঈশা খা দিঘি। এই দিঘির পশ্চিম পাড়ে রয়েছে নান্দনিক নোয়াজিশপুর ইউনিয়ন পরিষদ ভবন। পাশেই রয়েছে এলাকাবাসীর কবরস্থান। উত্তর পাড়ে নোয়াজিশপুর ইউনিয়ন স্বাস্থ্যকেন্দ্র, পূর্ব পাড়ে সনাতন ধর্মীয় অনুসারীদের শ্মশান।

বিশাল আয়তনের ঈশা খা দিঘির পাড়ে নোয়াজিশপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান সরোয়ার্দি সিকদার রেলপথ মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপির সহায়তায় গড়ে তোলেন নান্দনিক ফলদ গাছের বাগান। ঈশা খা দিঘিতে প্রতি বছর শীতের মৌসুমে আসে অতিথি পাখির দল। আবার মৌসুম শেষে তারা দিঘি ছেড়ে চলে যায়।

রাউজানের ৮ নং গহিরা ইউনিয়নের কোতায়ালী ঘোনা এলাকায় রয়েছে বিশাল আয়তনের সুলতান নসরত বাদশা দিঘি। ওই দিঘির দক্ষিণ পাড়ে রয়েছে বিশাল পাকা ঘাট ও কবরস্থান, পশ্চিম ও উত্তর পাড়ে এলাকাবাসীর কবরস্থান। নসরত বাদশার দিঘিতেও শীতের মৌসুমে হাজার হাজার অতিথি পাখি আসে। আবার মৌসুম শেষে চলে যায়।

এবারও শীতের মৌসুমে ঈশা খা দিঘি ও নসরত বাদশার দিঘিতে এসেছে হাজার হাজার অতিথি পাখি। অতিথি পাখির কিচির-মিচির শব্দে মুখরিত হয়ে উঠেছে ওই এলাকা। অতিথি পাখির এই কোলাহল দেখতে প্রতিদিন এলাকায় ভিড় করছেন বিভিন্ন বয়সের লোকজন।

রাউজানের নোয়াজিশপুর ইউপি চেয়ারম্যান সরোয়র্দি সিকদার আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, প্রতিদিন ইউনিয়ন পরিষদ ভবনে সেবা নিতে আসেন বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষ। তখন তারা ঈশা খা দিঘিতে অতিথি পাখির বিচরণ দেখে আনন্দে মেতে উঠেন। এলাকার বাসিন্দা ছাড়াও রাউজান, ফটিকছড়ি, হাটহাজারী এলাকার লোকজন আসেন অতিথি পাখির বিচরণ দেখতে।

এছাড়া শীতের মৌসুমের শুরুতেই রাউজানের বিভিন্ন এলাকার ফসলি জমি, দিঘি, হালদা নদীতে জেগে উঠা চরেও অতিথি পাখি আসতে শুরু করেছে। পাখির কিচির-মিচির শব্দে এলাকা মুখরিত হয়ে উঠেছে। হালদা নদীর রাউজান উপজেলার অংশের নোয়াপাড়ার ছায়ার চর, হালদার চর, রাউজানের কদলপুর ইউনিয়নের লস্কর উজির দিঘি, পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের মগদাই জলপাইন্যার দিঘি, পশ্চিম গুজরা ইউনিয়নের মগদাই, আবুর খীল, বিনাজুরী ইউনিয়নের পশ্চিম বিনাজুরী, বিনাজুরী, চিকদাইর ইউনিয়নের চিকদাইর এলাকার ফসলি জমিতে অতিথি পাখির আনাগোনা বেড়েছে।

রাউজানের বিভিন্ন এলাকায় আসা অতিথি পাখিরা দল বেধে ফসলি জমি, নদী ও খালের চরে বিচরণ করে। শীতের মৌসুম শেষে আবারো পাখিরা চলে যায়।

এদিকে রাউজানে অতিথি পাখি শিকার না করার জন্য কড়া নির্দেশনা দিয়েছেন রেলপথ মন্ত্রণালয় সর্ম্পকিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি এবিএম ফজলে করিম চৌধুরী এমপি।

এসআই/আলোকিত চট্টগাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!