রাউজানে দগ্ধ নারীর মৃত্যু ঘিরে রহস্য

রাউজানে হ্যাপী আকতার নামে অগ্নিদগ্ধ এক গৃহবধুর মৃত্যু নিয়ে রহস্য তৈরি হয়েছে। গৃহবধূর দেবরের দাবি, রান্নাঘরের আগুনে দগ্ধ হয়েছেন ভাবী। তবে স্থানীয় ইউপ সদস্য বলছেন, মানসিক ভারসাম্যহীন হওয়ায় নিজের গায়ে নিজে আগুন দিয়েছে হ্যাপী।

বুধবার (২৮ ডিসেম্বর) বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় ওই গৃহবধূর মৃত্যু হয়। ৫ দিন আগে হ্যাপী আকতারকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল।

গৃহবধূ হ্যাপী উপজেলার উরকির ইউনিয়নের ৭ নম্বর ওয়ার্ডের মোইশকরম গ্রামের হানিফ শেঠের বাড়ির মো. রাসেলের স্ত্রী।

স্থানীয়রা জানায়, দীর্ঘদিন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে পারিবারিক কলহ চলছিল। পারিবারিক কলহের জেরে গৃহবধূ গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দেয়।

আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নেতার ঘরে দগ্ধ গৃহকর্মীকে নেওয়া হলো ঢাকায়

তবে দেবর রনি বলেন, রান্না করার সময় শাড়িতে আগুন লাগার পর তাকে চমেক হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।

স্থানীয় ইউপি সদস্য সাজ্জাদ শাহা বলেন, নিহত গৃহবধূ মানসিক ভারসাম্যহীন ছিলেন। তিনি নিজের গায়ে কেরোসিন ঢেলে আগুন দিয়েছেন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে রাউজান থানার সেকেন্ড অফিসার অজয় দেব শীল বলেন, এক গৃহবধুর রহস্যজনক মৃত্যুর খবরে নোয়াপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ জয়নালকে পাঠানো হয়েছে। তিনি ঘটনাস্থল থেকে আসার পর বিস্তারিত জানতে পারব।

যোগাযোগ করা হলে নোয়াপাড়া পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ জয়নাল আবেদীন বলেন, পরিবারের দাবি নিহত গৃহবধূ মানসিক ভারসাম্যহীন। মাঝে-মাঝে অজ্ঞান হয়ে যেতেন। শ্বশুরবাড়ির লোকজন রান্নাঘরের আগুনে দগ্ধ হয়েছেন বলে জানিয়েছেন। বিষয়টি আমরা তদন্ত করছি।

প্রসঙ্গত, তিন বছর আগে মো. রাসেলের সঙ্গে হ্যাপি আকতারের বিয়ে হয়। তাদের দাম্পত্য জীবনে মোনতাহা নামে দুবছর বয়সী এক সন্তান রয়েছে।

এসএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!