যুবলীগ নেতা সেজে—সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড জিকুর, গুলি ছুড়েন ‘শোকের অনুষ্ঠানেও’

ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী জিকু। অপকর্ম চালান যুবলীগ নেতা সেজে। কথায় কথায় গুলি চালানো, অবৈধ অস্ত্রের ভয় দেখানো, চাঁদাবাজি ও মারামারি তাঁর জন্য মামুলি ব্যাপার। দক্ষিণের চন্দনাইশে যেকোনো অপরাধেই থাকে তাঁর হাত। তাই তাঁকে দেখলেই চমকে উঠেন এলাকার নিরীহ মানুষ।

তবে এবার ধরা পড়তে হলো তাঁকে। শনিবার (৪ সেপ্টেম্বর) দোহাজারী বাজার থেকে সন্ত্রাসী জিকুকে গ্রেপ্তার করে চন্দনাইশ থানা পুলিশ। চন্দনাইশের ৮নং হাশিমপুর ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের শোক দিবসের আলোচনা সভায় প্রতিপক্ষের হামলা-গোলাগুলির জেরে প্রকাশ্যে গুলি চালানোর মামলায় এজাহারভুক্ত আসামি জিকু।

আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ‘যুবলীগ নেতার’ রোগীসেবার অটোরিকশায় রোগী নেই—চড়ছে গরু

চন্দনাইশ থানার দোহাজারী পৌরসভা ২নং ওয়ার্ড চাগাচর ইউনিয়নের হাজারী দীঘির পাড় এলাকার নুরুল ইসলাম মেম্বারের ছেলে মো. গিয়াস উদ্দিন কাদের জিকু (২৮)।

জানা যায়, সোমবার (৩০ আগস্ট) চন্দনাইশের বাগিচারহাট ৮নং হাশিমপুর ইউনিয়নের হল ২৪ নামের একটি কমিউনিটি সেন্টারে জাতীয় শোক দিবস ও ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলায় নিহতদের স্মরণে আলোচনা সভার আয়োজন করে আওয়ামী লীগ। সভায় দুই পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষ হলে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে।

এরপর চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়ক অবরোধ করে সভা আহ্বানকারীরা। এসময় যুবলীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সদস্য গিয়াস উদ্দিন সুজন ও গিয়াস উদ্দিন কাদের জিকু অস্ত্র উঁচিয়ে প্রকাশ্যে গুলি করেন।

আরও পড়ুন: ‘অস্ত্র উঁচিয়ে’ ১০ বছর বহদ্দারহাট কাঁপাচ্ছেন ‘ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী’ জাবেদ

ঘটনার পর গিয়াস উদ্দিন সুজন ঢাকার ধানমণ্ডিতে র্যাবের হাতে গ্রেপ্তার হন। এর একদিন পর গিয়াস উদ্দিন কাদের জিকু ধরা পড়ে চন্দনাইশ থানা পুলিশের হাতে। গ্রেপ্তার গিয়াস উদ্দিন কাদের জিকুকে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছে চন্দনাইশ থানা পুলিশ।

সিএম/এসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!