ন্যায়বিচার নিশ্চিতে আরও আন্তরিক হতে হবে: চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট

চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রবিউল আলম বলেছেন, ফৌজদারি বিচার ব্যবস্থায় বিচার প্রশাসন, নির্বাহী প্রশাসন, পুলিশ প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগ একে অপরের পরিপূরক। বিচার বিভাগের প্রতি জনগণের আস্থা বাড়ানো এবং ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে আরও বেশি আন্তরিক হতে হবে। ব্যক্তি স্বার্থের উর্ধ্বে উঠে বিচারপ্রার্থীর কল্যাণে নিজ নিজ দায়িত্ব ও কর্তব্য সঠিকভাবে পালন করতে হবে। এক্ষেত্রে কারও অবহেলা কাম্য নয়।

শনিবার (১২ মার্চ) সকালে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের সম্মেলন কক্ষে পুলিশ-ম্যাজিস্ট্রেসি কনফারেন্সে সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

আরও পড়ুন: কমিউনিটি সেন্টারে হঠাৎ ম্যাজিস্ট্রেটের হানা—কনের বাবাকে জরিমানা

চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রবিউল আলম বলেন, নারীর অধিকার, কারাবন্দীদের অধিকার, সর্বোপরি মানবাধিকার সমুন্নত রেখে বিচারপ্রার্থী জনগণের কাঙ্খিত ন্যায় বিচার দ্রুততম সময়ে নিশ্চিতকরণ ও আইনের শাসন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সংশ্লিষ্ট সকল বিভাগের মধ্যে পারষ্পরিক সমন্বয় ও সহযোগিতা করতে হবে।

তিনি আরও বলেন, ফৌজদারি কার্যবিধি ১৮৯৮-এর ৬১ ধারা মোতাবেক সর্বোচ্চ ২৪ ঘণ্টার মধ্যে গ্রেপ্তার ব্যক্তিকে ম্যাজিস্ট্রেটের সামনে উপস্থাপন করতে হবে। জালিয়াতির মামলাগুলোতে দণ্ডবিধি ১৮৬০-এর ৪৬৩ এবং ৪৬৪ ধারার উপাদান আকৃষ্ট করে কিনা তা সঠিকভাবে দেখতে হবে। মানবদেহে আঘাত সংক্রান্ত অপরাধসমূহে মূল ভিকটিমকে সাক্ষী করা, সঠিক ধারায় মামলা লিপি এবং বিভিন্ন পরোয়ানা জারির ক্ষেত্রে আরও তৎপর হতে হবে।

চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. রবিউল আলমের সভাপতিত্বে কনফারেন্সে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মু. আবদুল হালিম, চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) বেগম তাহমিনা আফরোজ চৌধুরী, চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশনের স্পেশাল মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট (যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ) মনীষা মহাজন, মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট বেগম মেহনাজ রহমান এবং মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার জাহান, চট্টগ্রাম জেলা আইনজীবী সমিতির সাধারণ সম্পাদক এএইচএম জিয়া উদ্দিন, এডিসি (প্রসিকিউশন) মো. কামরুল হাসান, এডিসি (ক্রাইম) মো. জহিরুল ইসলাম, সহকারী পুলিশ কমিশনার মো. কামরুল হাসানসহ নগরের সব থানার অফিসার ইনচার্জ।

আরও পড়ুন: ম্যাজিস্ট্রেট আসার খবর শুনেই পালিয়ে গেল, রেখে গেল ৭ ডাম্পার ট্রাক—এক্সকেভেটর

আরও উপস্থিত ছিলেন এডিশনাল এসপি মো. জুনায়েত কাউছার, এডিশনাল এসপি মো. আবুল খায়ের ফকির এবং আব্দুছ ছালাম মিয়া, সিনিয়র জেল সুপার মো. শফিকুল ইসলাম খান, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সহকারী পরিচালক ডা. আবদুল মন্নান, ফরেনসিক মেডিসিনের প্রভাষক ডা. এসকে ধর, মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (মেট্রো) সহকারী পরিচালক মোমেন মণ্ডল এবং প্রবেশন অফিসার বেগম পারুমা বেগম।

আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!