মায়ের কারণেই বারবার ধর্ষিত হয়েছে মেয়ে

সীতাকুণ্ডে দশ বছরের শিশুকে ধর্ষণের অভিযোগে মো. ইব্রাহিম (৩২) নামে এক ডেকোরেশন কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। একইসাথে ধর্ষণে সহযোগিতা করায় ভিকটিম শিশুটির মাকেও গ্রেপ্তার করা হয়েছে। রোববার (৬ মার্চ) দুপুরে সীতাকুণ্ড মডেল থানায় ভিকটিমের ভাবীর দায়ের করা মামলায় এ দুজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা যায়, উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের হাসনাবাদ এলাকার আমজাদ আলী সেরাং বাড়ি এলাকায় ভাড়ায় থাকেন নোয়াখালী সদর অঞ্চলের এক নারী। কিছুদিন আগে তার সঙ্গে পরিচয় হয় বাঁশবাড়িয়া ৩নং ওয়ার্ডের নতুনপাড়া গ্রামের মৃত ইলিয়াছের ছেলে ডেকারেশন কর্মী মো. ইব্রাহিমের।

পরিচয় সূত্রে ওই নারীকে খালা ডেকে ইব্রাহিম প্রায়ই তার বাড়িতে আসা-যাওয়া করত এবং ওই নারীকে টাকা-পয়সা দিতো। এতে ওই নারী দিন দিন তার প্রতি দুর্বল হয়ে পড়ে। এ সুযোগে ইব্রাহিম সেখানে রাত্রি যাপন শুরু করে এবং ওই নারীর ১০ বছর বয়সী শিশুকে বারবার ধর্ষণ করতে থাকে।  এতে তার রক্তক্ষরণ হলে অসুস্থ হয়ে মাকে ধর্ষণের কথা জানায়। কিন্তু মা তাকে উল্টো ভয়-ভীতি দেখিয়ে চুপ থাকতে বলে।

আরও পড়ুন: কিশোরীকে ধর্ষণ—ভিডিও ভাইরালের হুমকি দেওয়া ধর্ষক গ্রেপ্তার

একপর্যায়ে মেয়েটি নিজ ঘরেই বারবার ধর্ষিত হওয়ার কথা তার ভাবীসহ প্রতিবেশীদের জানায়। এরপর তারা ইব্রাহিমকে ধরতে অপেক্ষা করতে থাকে। এদিকে সর্বশেষ শনিবার গভীর রাতে ইব্রাহিম মেয়েটিকে ধর্ষণের সময় এলাকাবাসী ধর্ষক ও মা’কে আটক করে পুলিশে দেয়।

সীতাকুণ্ড থানার ওসি (তদন্ত) সুমন বণিক ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, মেয়েটির আপন মায়ের সহযোগিতায় তার শিশুকন্যাকে এক যুবক নিজ ঘরেই বারবার ধর্ষণ করে। মর্মান্তিক এ ঘটনার বর্ণনা দিয়েছে ভুক্তভোগী মেয়েটি।

সে জানিয়েছে ধর্ষণের কথা বারবার তার মাকে জানালেও উল্টো তিনি ভয়-ভীতি দেখিয়ে কাউকে না বলার জন্য বলে। এতে মেয়েটি হতাশ হয়ে পড়ে। এ ঘটনায় মেয়েটির ভাবী বাদী হয়ে তার মা ও ইব্রাহিমের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে। রোববার তাদেরকে গ্রেপ্তার করে কোর্টহাজতে পাঠানো হয়েছে।

এসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!