‘মামলার বহর’—সাংবাদিক পরিচয়ের কাশেমকে আটক করেছে বিজিবি

কক্সবাজারের টেকনাফে বিজিবির হাতে আটক হয়েছেন ‘সাংবাদিক’ পরিচয়ধারী আবুল কাশেম (৪০) ওরফে কাইশ্যা। তিনি ধর্ষণ মামলাসহ একাধিক মামলার আসামি।

রোববার সন্ধ্যায় উপজেলার হোয়াইক্যং চেকপোস্টে বর্ডার গর্ড ব্যাটালিয়ান-২ সদস্যরা কাইশ্যাকে আটক করেন। বর্ডারগার্ড ব্যাটেলিয়ন-২ এর অধিনায়ক মো. ফয়সাল খাঁন (পিএসসি) ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন। পরে তাকে টেকনাফ থানা পুলিশের হাতে হস্তান্তর করা হয়।

বিজিবি জানায়, একটি জাতীয় পত্রিকার স্টিকার লাগানো গাড়িটি সিগনাল অমান্য করে পালানোর চেষ্টা করেছিল। একইসঙ্গে সাংবাদিক পরিচয়ে ওই ব্যক্তি ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেছেন। এসব কারণে তাঁকে আটক করা হয়েছে।

আবুল কাশেম একটি জাতীয় পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার পদে আছেন বলে বিজিবির কাছে স্বীকার করেন।

টেকনাফ থানা পুলিশ জানায়, আবুল কাশেমের পিতার নাম আবু সামা। তার বাড়ি টেকনাফের হোয়াইক্ষংয়ের ঝিমং হলেও থাকেন গাজীপুরে। কিছুদিন আগে তিন অজ্ঞাত তরুণীসহ বিজিবি তাকে আটক করে। পরে ক্ষমা চেয়ে ছাড়া পান তিনি।

সর্বশেষ রোববার (১৮ জুলাই) সন্ধ্যায় আবারও তিনি একই রুটে একটি জাতীয় পত্রিকার লোগো লাগানো প্রাইভেট কার নিয়ে হোয়াইক্ষং চেকপোস্ট পার হওয়ার সময় বিজিবি সদস্যরা তাকে থামায়। এ সময় তিনি বিজিবি সদস্যদের সঙ্গে ঔদ্ধত্যপূর্ণ আচরণ করেন এবং সাংবাদিক পরিচয়ে হুমকি-ধমকি দেন। এক পর্যায়ে বিজিবি সদস্যরা তাকে আটক করেন।

একাধিক সূত্রে জানা যায়, আবুল কাশেমের বিরুদ্ধে দেশের বিভিন্ন থানায় ধর্ষণ চেষ্টা, গাছ কাটা, চাঁদাবাজির মামলাসহ অসংখ্য মামলা রয়েছে। টেকনাফ থানা পুলিশ গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার নারী ও শিশু নির্যাতন ও ধর্ষণ মামলার (নম্বর-১৮, ২০/০৬/২০২১) প্রধান আসামি হিসেবে ওই থানায় তাকে হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

টেকনাফ থানার ওসি মো. হাফিজুর রহমান জানান, আবুল কাশেম নামে এক সাংবাদিককে বিজিবি হস্তান্তর করেছে। তাকে ধর্ষণ মামলায় জয়দেবপুর থানায় স্থানান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।

বলরাম/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!