মামলার পর মামলা, অবশেষে পুলিশের জালে দুই শীর্ষ মাদক কারবারি

চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কয়েক ডজন মামলার দুই আসামিকে ১ হাজার ইয়াবাসহ গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

শনিবার (২৪ জুলাই) দিবাগত রাতে তাদের গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান ।

গ্রেপ্তাররা হলেন- নেত্রকোনা জেলার বারহাট্টা থানার ফকরুল চেয়ারম্যানের বাড়ির মো. আক্কাসের ছেলে মো.আল-আমিন (৩২) ও বায়েজিদ থানার পশ্চিম শহিদ নগর আবুলের মার বাড়ি এলাকার মো. ইউনুছের ছেলে মো. তাজুল ইসলাম (৩৮)।

থানা সূত্রে জানা যায়, বায়েজিদ থানার শীর্ষ মাদককারবারি আল আমিন একসময় হামকা গ্রুপের সদস্য ছিলেন। বিভিন্ন জেলায় চুরি ও ছিনতাইসহ নানা অপরাধ করে বেড়াত। পরে তিনি হামকা গ্রুপ থেকে বের হয়ে নিজেই বাহিনী গড়ে তুলেন। তারা নগরের বায়েজিদ এলাকার আল আমিন কলোনি, রুবি গেট, টেক্সটাইল, অক্সিজেন ও হাটহাজারী উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় মাদক বেচাকেনা, চুরি ও ছিনতাই নিয়ন্ত্রণ করে আসছিল।

আল আমিনের বিরুদ্ধে বায়েজিদ থানায় ১১টি, কোতোয়ালী থানায় ২টি, পাঁচলাইশ থানা, চন্দনাইশ থানা ও নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া এলাকায় ১টি করে ১৭টি মামলাসহ দেশের বিভিন্ন জেলায় আরও একাধিক মাদক, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাইসহ নারী ও শিশু নির্যাতন মামলা রয়েছে।

গ্রেপ্তার আরেক আসামি তাজুল ইসলাম বায়েজিদ থানার অক্সিজেন শহিদ নগরের বাসিন্দা। তিনি অক্সিজেন, কুয়াইশ, নোয়াপাড়া, শহিদ নগর, বটতল, বালুচড়া ও নতুনপাড়াসহ বিভিন্ন এলাকায় মাদক, চুরি ও ছিনতাই নিয়ন্ত্রণ করত। তার বিরুদ্ধে নগরের বায়েজিদ থানায় ৬টি ও পাঁচলাইশ থানায় ১টিসহ নগরের বিভিন্ন থানায় একাধিক মামলা রয়েছে।

এসব বিষয়ে জানতে চাইলে বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মো. কামরুজ্জামান আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, ‘গ্রেপ্তার দুইজন বায়েজিদ থানার শীর্ষ মাদককারবারি। তাদের বিরুদ্ধে চট্টগ্রামসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে কয়েক ডজন মামলা রয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’

সিএম/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!