মানবিক পুলিশ—‘মা ভিক্ষুক’, নবজাতকের দায়িত্ব নিজের কাঁধে নিলেন ওসি

ভিক্ষুক মিনু আক্তার (২২)। গর্ভাবস্থায় রাস্তায় ভিক্ষা করার সময় হঠাৎ প্রসব বেদনায় কাতরাচ্ছিলেন। তবে এগিয়ে আসেনি আশপাশের কেউ।

খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে দ্রুত ছুটে আসে চান্দগাঁও থানা পুলিশের একটি দল। দ্রুত তাঁকে উদ্বার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে নিয়ে ভর্তি করায়। তবে এখানেই শেষ নয়। পুলিশ নেন চিকিৎসার ভারও।

শুক্রবার (২৭ আগস্ট) নগরের বহদ্দারহাট মোড়ে এ ঘটনা ঘটে।

আরও পড়ুন: ‘মানবিক পুলিশ’—ওসির গাড়িতে হাসপাতাল গেল এক প্রসূতি

এদিকে হাসপাতালে ভর্তির পর নগরের শমসেরপাড়ার বাসায় পালিয়ে চলে আসেন মিনু আক্তার। ৩১ আগস্ট তিনি ওই বাসায় পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। সন্তানের নাম রাখা হয়েছে সাইফুল্লাহ।

অন্যদিকে চান্দগাঁও থানা পুলিশ আবারও হাসপাতালে যান মিনুকে দেখতে। কিন্তু হাসপাতালে না পেয়ে ছুটে যান তাঁর বাসায়। সন্তান জন্মের খবরে কাপড় ও খাদ্যসামগ্রী উপহার দেন ওসি। এছাড়া চিকিৎসা ও খাদ্যের ব্যয়ভার বহনেরও দায়িত্ব নেন তিনি।

পুলিশ সূত্রে জানা যায়, দরিদ্র মিনু আক্তার বসবাস করেন শমশেরপাড়া এলাকার একটি বস্তিতে। তিনি বহাদ্দারহাটসহ বিভিন্ন এলাকায় ঘুরে ঘুরে ভিক্ষা করে জীবিকা নির্বাহ করেন। গর্ভবতী হওয়ার পর স্বামী তাঁকে ফেলে চলে যায়৷

আরও পড়ুন: ‘চুরি’ যাওয়া নবজাতক ভিজছিল বৃষ্টিতে, অবশেষে উদ্ধার

চান্দগাঁও থানার ওসি মাঈনুর রহমান আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, গত শুক্রবার বহদ্দারহাট মোড়ে একজন মহিলা প্রসব বেদনায় ছটফট করতে দেখে পুলিশের একটি টিম উদ্ধার করে তাঁকে দ্রুত চমেক হাসপাতালে ভর্তি করায়। পরে ওই মহিলা হাসপাতাল থেকে পালিয়ে চলে আসেন।

ওসি আরও বলেন, খোঁজ নিয়ে জানতে পারি তাঁর একটি ছেলে সন্তান হয়েছে। এ খবর শুনে মা ও ছেলের জন্য কাপড় ও খাদ্যসামগ্রী নিয়ে বাসায় যায়। সন্তানের নাম রেখেছি সাইফুল্লাহ। তাদের উভয়ের চিকিৎসা ও খাদ্যের ব্যয়ভার বহনের দায়িত্ব নিয়েছি। বর্তমানে মা-ছেলে দুজনই সুস্থ আছে৷

সিএম/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!