মহানবমীতে মণ্ডপে মণ্ডপে বর্ণিল আয়োজন, বাড়বে দর্শনার্থীর ঢল

পাঁচ দিনব্যাপী শারদীয় দুর্গোৎসবের আজ (মঙ্গলবার) মহানবমী। আগামীকাল (বুধবার) বিজয়া দশমীতে প্রতিমা বিসর্জনের মধ্য শেষ হবে সনাতন ধর্মাবলম্বীদের সবচেয়ে বড় এ ধর্মীয় উৎসব।

আজ (মঙ্গলবার) মহানবমীতে পূজামণ্ডপগুলোতে ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠান ছাড়া রয়েছে নানা আয়োজন।

আরও পড়ুন : মহানবমী—উৎসবের শেষ রাত আজ

সকালে মহানবমী পূজা, যজ্ঞ ও চণ্ডীপাঠ অনূষ্ঠিত হবে। পূজা শেষে ভক্তদের পুষ্পাঞ্জলী প্রদান এবং দুপুরে বিভিন্ন মণ্ডপে মহাপ্রসাদ আস্বাদনের আয়োজন রয়েছে।

এছাড়া বিকেলে থেকে সন্ধ্যায় বস্ত্র বিতরণ, আলোচনা সভা, সাংস্কৃতিক ও নৃত্যানুষ্ঠান হবে।

এর আগে সোমবার (৩ অক্টোবর) মহাষ্টমী ও কুমারী পূজা ধর্মীয় গাম্ভীর্য্যের মধ্যদিয়ে অনুষ্ঠিত হয়েছে। এদিন ভক্তরা উপবাস থেকে দেবী দুর্গার কৃপা প্রার্থনা করে পুষ্পাঞ্জলী নেন।

এদিকে কুমারী পূজার মায়ের দর্শন ও কৃপা লাভে নেমেছিল বিভিন্ন বয়সী নারী-পুরুষের ঢল। দূর-দূরান্ত থেকে অনেকে ছুটে আসেন কুমারী মাকে কাছে থেকে একপলক দেখতে।

আরও পড়ুন : সপ্তমীতেই মণ্ডপে মণ্ডপে ভিড়, চেনা রূপে ফিরল দুর্গাপূজা

প্রতিবছরের মতো এবারও পাথরঘাটা শান্তনেশ্বরী মাতৃমন্দিরে কুমারী পূজার আয়োজন করা হয়। এতে পৌরহিত্য করেন শ্রীমৎ শ্যামানন্দ দাস মোহন্ত মহারাজ।

এবার কুমারী পূজার আসন অলংকৃত করেন ৭ বছরের প্রীতি ধর। ৭ বছর হওয়ায় এবার তার শাস্ত্রীয় নাম ‘মালিনী’। শাস্ত্রমতে, ‘মালিনী’ নামে কুমারী পূজিত হলে ধৈনশ্বর্য লাভ হয়।

অন্যদিকে মহাষ্টমীর রাতে নগরের মণ্ডপগুলোতে গভীর রাত পর্যন্ত ছিল মানুষের ঢল। এদিন সন্ধ্যায় আসা বৃষ্টি উপেক্ষা করে পরিবার-পরিজন নিয়ে দর্শনার্থীরা ভিড় জমান মণ্ডপে মণ্ডপে। বাহারি রঙের লাইটিং ও ঢাক-ঢোলের আরতিতে জমে উঠে পূজাঙ্গন। এসময় বাজনার সঙ্গে কোমর দুলিয়েছেন ছোট-বড় অনেকেই।

নগরের জেএমসেন হল, চেরাগী পাহাড়, নন্দকানন, সাব এরিয়া, ঘাটফরহাদবেগ, টেরিবাজার, হাজারী লেইন, চকবাজার, পাথরঘাটা ও দক্ষিণ নালাপাড়া এলাকার পূজামণ্ডপে মহাষ্টমীর রাতে দর্শনার্থীদের ঢল নেমেছিল। দীর্ঘক্ষণ অপেক্ষার পর লাইন ধরে মণ্ডপে ঢুকতে পারেন দর্শনার্থীরা। এসময় এসব এলাকার রাস্তায় যানজট ও জনজট সৃষ্টি হয়। যানজট নিরসনে ব্যস্ত ছিল ট্রাফিক পুলিশ। আবার দর্শনার্থীদের চলাচল নির্বিঘ্ন করতে তৎপর ছিল পূজা কমিটির স্বেচ্ছাসেবকরা। এছাড়া মণ্ডপের ভেতর-বাইরে আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যরা ছিল সতর্ক অবস্থানে।

আজ (বুধবার) মহানবমীতেও দর্শনার্থীদের ঢল আরও বাড়বে বলে ধারনা করা হচ্ছে।

আরও পড়ুন : মহাষ্টমীতে ‘মালিনী’—কুমারী পূজায় ৭ বছরের প্রীতি

প্রসঙ্গত, গত ১ অক্টোবর (শনিবার) ষষ্ঠী পূজার মধ্যদিয়ে শুরু হয় দুর্গাপূজার আনুষ্ঠানিকতা। এবছর নগরের ২৮৩টি মণ্ডপে দুর্গাপূজা হচ্ছে।

এবার দেবী দুর্গা গজে চড়ে কৈলাস থেকে মর্ত্যলোকে এসেছেন। এর ফলে প্রাকৃতিক বিপর্যয়, ঝড়-বৃষ্টি এবং শস্য ও ফসল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে। দশমীর দিন বির্সজনের মাধ্যমে মা কৈলাসে (স্বর্গে) ফিরে যাবেন নৌকায় চড়ে। এর ফলে জগতের কল্যাণ সাধিত হবে।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!