মস্ত বড় পুলিশ অফিসার তিনি, ঘুরে বেড়ান প্রাইভেট কারে

মস্ত বড় পুলিশ অফিসার তিনি। কোমরে সবসময় থাকে ওয়াকিটকি। ঘুরে বেড়ান প্রাইভেট কারে। কথায় কথায় দেন ধমক। তাঁর হাবভাবে সবসময় ভয়ে থাকে আশপাশের মানুষ। তিনি নাকি হালিশহর থানার এসআই।

হালিশহর থানার সেই এসআই ধরা পড়েছেন পুলিশের হাতে। ধরা পড়ার পর বেরিয়ে এসেছে থলের বিড়াল। পুলিশ অফিসার তো দূরের কথা তিনি আসলে ড্রাইভার! অপরাধের সঙ্গে জড়িত এ যুবক নিজেকে নিরাপদ রাখতেই পরিচয় দেন পুলিশের এসআই।

বৃহস্পতিবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে হালিশহরের বি ব্লক থেকে গ্রেপ্তার করা হয় ভুয়া এসআই আরমান হোসেনকে (২৭)। তিনি ওই এলাকার মৃত জসীম উদ্দিনের ছেলে।

ভুয়া পুলিশ আরমানকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি আলোকিত চট্টগ্রামকে নিশ্চিত করেন হালিশহর থানা উপপরিদর্শক মো. ইমদাদ হোসেন চৌধুরী।

এর আগে পুলিশ পরিচয়ে আরমানের প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়ে দৈনিক আলোকিত চট্টগ্রামের সাংবাদিক জুলহাজ নীলের অনুসন্ধানে।

সরেজমিন প্রতিবেদনের জন্য গত ৬ ডিসেম্বর হালিশহর এলাকায় যান রিপোর্টার জুলহাজ নীল। এ সময় আরমান নামের সেই যুবক স্পটে আসেন। নিজেকে হালিশহর থানার এসআই পরিচয় দিয়েই চড়াও হন। এরপর প্রতিবেদক জুলহাজ নীলকে প্রতিবেদন প্রকাশ থেকে বিরত না থাকলে প্রাণে মেরে ফেলাসহ গ্রেপ্তারের ভয়ও দেখান আরমান।

এ সময় আরমানের আচরণে সন্দেহ হলে সাংবাদিক জুলহাজ নীল আরমানকে চ্যালেঞ্জ করে হালিশহর থানায় যেতে বলেন। পরিস্থিতি আঁচ করতে পেরে নিজের সিলভার কালারের চট্টমেট্টো খ ১১-১৯৮০ নম্বরের প্রাইভেট কার নিয়ে দ্রুত সটকে পড়েন আরমান।

ঘটনার পরপর আলোকিত চট্টগ্রাম প্রতিবেদক জুলহাজ নীল হালিশহর থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগ পেয়ে পুলিশের অভিযানেই গ্রেপ্তার হন ভুয়া এসআই আরমান চৌধুরী।

এদিকে গ্রেপ্তারের পর আরমান পুলিশের কাছে অকপটেই দায় স্বীকার করেছে বলে থানা সূত্রে জানা গেছে।

আরমান পুলিশকে জানান, তিনি হালিশহরে বৌ বাজার এলাকার সুমন নামের এক ঠিকাদারের গাড়ি চালক।

যোগাযোগ করা হলে হালিশহর থানার ওসি জহির উদ্দিন আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, এ ঘটনায় মামলা হয়েছে।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!