ভোটের ফল জালিয়াতি করেছেন প্রিজাইডিং অফিসার

আনোয়ারার বারশত ইউনিয়নের ৮নম্বর ওয়ার্ডের প্রিজাইডিং অফিসারের বিরুদ্ধে ভোটের ফল জালিয়াতির অভিযোগ করেছেন সাধারণ দুই ইউপি সদস্য প্রার্থী।

বৃহস্পতিবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে বারশতের ৮ নম্বর ওয়ার্ডের জসীম উদ্দিন আহমদ (বৈদ্যুতিক পাখা) ও একই ওয়ার্ডের মো. হারুনুর রশিদ ((ফুটবল) এ অভিযোগ করেন। তাঁরা প্রকাশ করা ফলাফলের উপর আপত্তি জানিয়ে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন উপজেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এবং চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসকের কাছে।

জসীম উদ্দিন আহমেদ আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, ভোট গণনার সময় দায়িত্বরত প্রিজাইডিং অফিসার সুমন কল্যাণ চৌধুরী ঘোষণা করেন বৈদ্যুতিক পাখা প্রতীক ২৩২ ভোট পেয়েছেন। তৎক্ষণাৎ আমার এজেন্ট চ্যালেঞ্জ করেন। এরপর তিনি টিউবওয়েল প্রতীকের বান্ডেল থেকে ১০০টি ভোট বৈদ্যুতিক পাখার হিসাবে যোগ করেন। এ সময় আমার এজেন্ট প্রতিটি বান্ডেল পুনরায় গণনার অনুরোধ জানালে তিনি তা করেননি।

আরও পড়ুন: নৌকা ডুবল লজ্জায়—৯ কেন্দ্রে ৬৭ ভোট পেল চেয়ারম্যান পদে, জিতল এমপির ‘পছন্দের প্রার্থী’

একই অভিযোগ ফুটবল প্রতীকের প্রার্থী মো. হারুনুর রশিদের। তিনি বলেন, প্রিজাইডিং অফিসার সুমন কল্যাণ চৌধুরী ঘোষণা করেন, আমি ৪১২ ভোট পেয়েছি এবং টিউবওয়েল প্রতীকে মো. ইসলাম ৪২৬ ভোট পেয়ে বিজয়ী হয়েছেন। ফলাফল ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই আমিসহ অন্য প্রার্থীরা এর আপত্তি জানিয়ে পুনরায় ভোট গণনার অনুরোধ করি। কিন্তু প্রিজাইডিং অফিসার এ অনুরোধ রাখেননি।

অভিযোগকারী জসীম উদ্দিন ও মো. হারুনুর রশিদ অভিযোগ করেন, প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর কাছ থেকে অনৈতিক সুবিধা নিয়ে প্রিজাইডি অফিসার এ কাজ করেছেন। ভোট পুনরায় গণনার জন্য আমরা বিভিন্ন দপ্তরে লিখিত অভিযোগ করেছি।

অভিযোগের বিষয়ে জানতে চাইলে প্রিজাইডিং অফিসার সুমন কল্যাণ চৌধুরী আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, ভোটগুলো পুনরায় গণনা করা হলে সত্য উঠে আসবে।

যোগাযোগ করা হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ জোবায়ের আহমেদ বলেন, এরকম কোনো অভিযোগ পাইনি। নির্বাচন কমিশন বরাবর অভিযোগ জানালে তারা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিবেন।

ইমরান/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!