৪ জুন থেকে নগরজুড়ে চারদিনের ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন

নগরের ৪১টি ওয়ার্ডে চারদিনব্যাপী জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইন শুরু হতে যাচ্ছে। আগামী ৪ থেকে ৭ জুন প্রতিদিন সকাল ৮টায় শুরু হয়ে বিকাল ৪টা পর্যন্ত চলবে এই ক্যাম্পেইন। ক্যাম্পেইনে ৬ থেকে ১১ মাস বয়সী শিশুদের নীল ক্যাপসুল এবং ১২ থেকে ৫৯ মাস বয়সী শিশুদের খাওয়ানো হবে লাল ক্যাপসুল।

সোমবার (২৩ মে) সকালে চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন (চসিক) জেনারেল হাসপাতাল মিলনায়তনে স্বাস্থ্য বিভাগের উদ্যোগে কেন্দ্রীয় অ্যাডভোকেসী ও পরিকল্পনা সভায় এসব তথ্য জানানো হয়।

আরও পড়ুন: নগরের ৫ লাখ ৩২ হাজার শিশু পাবে ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল

সভায় চসিক প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী বলেন, আগামী প্রজন্মকে সুস্থ দেহ ও মনের অধিকারী করে গড়ে তুলতে নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে বর্তমান সরকার। গত দুবছর করোনা অতিমারির কারণে শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো সম্ভব হয়নি। এ বছর করোনার প্রকোপ কমে আসায় ভিটামিন এ ক্যাপসুল উৎসবমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এতে নগরের ৪১টি ওয়ার্ডে স্থায়ী ও অস্থায়ী ১ হাজার ২৮৮টি টিকাকেন্দ্রে এই ক্যাম্পেইন পরিচালিত হবে।

রাতকানা রোগ এবং অন্ধত্ব একটি অপুষ্টিজনিত সমস্যা যা ভিটামিন এ’র অভাবে হয় উল্লেখ করে ডা. সেলিম আক্তার চৌধুরী বলেন, ‘এ কারণে সরকার ভবিষ্যৎ প্রজন্মের সবধরণের অপুষ্টি রোধে জাতীয় পুষ্টিসেবা কার্যক্রমসহ ব্যাপক কর্মসূচি গ্রহণ করেছে। অপুষ্টিজনিত রোগ প্রতিরোধে উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন ভিটামিন এ ক্যাপসুল কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। তাই ৬ থেকে ৫৯ মাস বয়সী সকল শিশুদের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর ফলে দেশে রাতকানা রোগ ও অন্ধত্বের হার কমে আসছে এবং এই কর্মসূচি শতভাগ সফল হলে আরও কমবে।

আরও পড়ুন: ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল—১৪ দিনের ক্যাম্পেইন উদ্বোধন

ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্বাস্থ্যবান করে গড়ে তুলতে সরকারের পাশাপাশি অভিভাবকদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি। এছাড়া ভিটামিন এ ক্যাপসুল নিয়ে গুজবে কান না দেওয়ার জন্য সবার প্রতি অনুরোধ জানান।

স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর জহর লাল হাজারীর সভাপতিত্বে সভায় বক্তব্য রাখেন কাউন্সিলর আবদুস সালাম মাসুম, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. মোহাম্মদ আলী, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. নুরুল হায়দার, চসিক জোনাল মেডিকেল অফিসার ডা. ইমাম হোসেন রানা, ডা. রফিকুল ইসলাম, ডা. দ্বীপা ত্রিপুরা ও মমতার শাহীন সুলতানা।

আরএস/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!