‘ভিক্ষুকের কাছ থেকেও চাঁদা’—পিস্তল নিয়ে দাপিয়ে বেড়ান সন্ত্রাসী গোলজার

চট্টগ্রামের শীর্ষ সন্ত্রাসী ও ডবলমুরিং থানার তালিকাভুক্ত ১ নম্বর আসামি গোলজার আলম প্রকাশ গোলজার হোসেন প্রকাশ পিস্তল গোলজারকে (৩৯) গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এ সময় তার কাছ থেকে অস্ত্র, গুলি ও ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

মঙ্গলবার (২০ জুলাই) দিবাগত রাতে নগরের ডবলমুরিং থানার দাইয়াপাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। তার বিরুদ্ধে অস্ত্র, মাদক, ছিনতাই, চাঁদাবাজি, হত্যাচেষ্টা, বিস্ফোরকসহ বিভিন্ন থানায় ১৫টি মামলা রয়েছে। সে ডবলমুরিং থানা যুবদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক।

গ্রেফতার গোলজার ডবলমুরিং থানার দাইয়াপাড়া, আছিয়া বাপের বাড়ির মো. মুছা প্রকাশ কালা বুচুইক্কার ছেলে।

জানা গেছে, চুরি, চাঁদাবাজি থেকে শুরু করে মাদক কারবার- সবই করে গোলজার। এমনকি তার চাঁদা আদায়ের তালিকা থেকে বাদ যায় না ভিক্ষুকও!

ডবলমুরিং থানার ওসি মোহাম্মদ মহসীন বলেন, ‘গোলজার চট্টগ্রামের তালিকাভুক্ত শীর্ষ সন্ত্রাসী এবং ডবলমুরিং থানার তালিকাভুক্ত ১ নম্বর আসামি। সে ডবলমুরিং এলাকার ত্রাস। চুরি থেকে শুরু করে ছিনতাই, চাঁদাবাজি, মাদক বিক্রিসহ এমন কোনো অপরাধ নেই যা সে করে না। সে ভিক্ষুকের কাছ থেকেও দৈনিক ২০ টাকা চাঁদা নেয়! আবার ২০০ টাকা দিলেই যে কাউকে গিয়ে মেরে আসে! গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গতকাল রাত সাড়ে ১১টায় দাইয়াপাড়া থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়। এ সময় তার কাছ থেকে ১টি দেশীয় তৈরি পাইপ গান, ১ রাউন্ড গুলি ও ১০৫ পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।

হাতে হাতুড়ি, পকেটে পিস্তল!

গোলজার সবসময়ই পকেটে পিস্তল ও হাতে হাতুড়ি রাখে। ২০১৮ সালে ডিস ব্যবসাকে কেন্দ্র করে টিপু ও সগীর নামের দুই ব্যক্তিকে গুলি করে গোলজার। ২০১৩ সালে পুলিশকে লক্ষ্য করেও গুলি করে সে। কেউ তার কথার অবাধ্য হলে তাকে হাতুড়িপেটা করে। সর্বশেষ গত ১১ জুলাই দাইয়াপাড়ায় রাশেদ নামে একজনকে হাতুড়ি দিয়ে পিটিয়ে আহত করে। তার এক সপ্তাহ আগে আরও একজনকে একই কায়দায় পিটিয়ে আহত করে গোলজার।

চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা

বর্তমানে গোলজার ডবলমুরিং থানার চিহ্নিত মাদক বিক্রেতা। মূলত টেকনাফ থেকে আনা ইয়াবা সে খুচরা বিক্রি করে। এজন্য তার ৩ জনের একটি বিক্রয় প্রতিনিধি দলও আছে! কমিশনের ভিত্তিতে তারা গোলজারের ইয়াবা বিক্রি করে। তার বিরুদ্ধে মাদক আইনে ২টি মামলা রয়েছে।

আলোকিত চট্টগ্রাম

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!