ব্যাংকের ভুয়া স্লিপে ন্যামস মটরসের আড়াই কোটি টাকা মেরে দিল পটিয়ার ছেলে

ন্যামস মটরসের আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে কৌশিকুল আমিন সিয়ামকে (২৬) কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত

রোববার (৭ আগস্ট) দুপুরে সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট বিশ্বেশ্বর সিংহ উভয়পক্ষের শুনানি শেষে তাকে কারাগারে পাঠান। কৌশিকুল আমিন সিয়াম পটিয়া উপজেলার উত্তর গোবিন্দারখীল গ্রামের সূর্য্যত খান বাড়ির মো. নুরুল আমিনের ছেলে।

চট্টগ্রাম জেলা পিপি শেখ ইফতেখার সাইমুল চৌধুরী বিষয়টি নিশ্চিত করে আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, ন্যামস মোটরসের আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের মামলায় এজহারে উল্লেখিত প্রধান আসামি কৌশিকুল আমিন সিয়াম আদালতে উপস্থিত হয়ে জামিন আবেদন করেন। এ সময় আদালত উভয়পক্ষের শুনানি শেষে কৌশিকুলের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।

এ সময় অ্যাড. মো. জাহাংগির আলম, অ্যাড. আফজাল হোসাইন এবং অ্যাড. আজমুল হুদা উপস্থিত ছিলেন।

আদালত সূত্রে জানা গেছে, চলতি বছরের ৩১ মে ন্যামস মোটরস লিমিটেডর আড়াই কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির উর্ধ্বতন নির্বাহী হুমায়ুন কবির (৩৪) বাদী হয়ে পটিয়া থানায় মামলা দায়ের করেন।

আরও পড়ুন: মিসরাইয়ের ট্রেন দুর্ঘটনা—আহত পাভেল আর ফিরবে না, নিহত দাঁড়াল ১৩—তেই

তিনি এজহারে উল্লেখ করেন, কৌশিকুল আমিন সিয়াম ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই থেকে ন্যামস মটরস লিমিটেডের রিকভারি অ্যাসিস্ট্যান্ট হিসেবে পটিয়া জোনে কর্মরত ছিলেন। তিনি পটিয়া থানা এলাকাসহ আশপাশের বিভিন্ন থানা এলাকার গ্রাহক থেকে কিস্তির টাকা নিয়ে ন্যামস মটরসের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা দেওয়ার দায়িত্ব পালন করতেন। তিনি ২০২১ সালের ১ এপ্রিল থেকে ২০২২ সালের ২৮ মে পর্যন্ত বিভিন্ন গ্রাহক থেকে মাসিক কিস্তির আড়াই কোটি টাকা নিয়ে তা প্রতিষ্ঠানের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা করেননি।

এদিকে গ্রাহকের জমা বইয়ে টাকা আদায় করা হলেও ন্যামস মোটরসের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে এ টাকা জমা করেননি। তিনি, তার বাবা মো. নুরুল আমিন, তার ছোট ভাই সাফায়েতুল আমিন সৌরভ (২৪) এবং মেজবা উদ্দিন আহমেদ শাহীনের (৪২) সহযোগিতায় আড়াই কোটি টাকা ভুয়া ব্যাংক জমা স্লিপ তৈরি করে প্রতিষ্ঠান্টির রাজধানীর হেড অফিসে পাঠিয়ে দেন।

বিষয়টি ন্যামস মোটরসের অ্যাকাউন্ট ডিপার্টমেন্টের নজরে এলে তারা তা খতিয়ে দেখেন। তারা বুঝতে পারেন, ব্যাংকের ভুয়া স্লিপ তৈরি করে ন্যামস মোটরস লিমিটেডের আড়াই কোটি টাকা প্রতারণার মাধ্যমে আত্মসাৎ করা হয়েছে।

ন্যামস মোটরস লিমিটেডের পক্ষ থেকে কৌশিকুল আমিন সিয়ামের সঙ্গে যোগাযোগ করতে চাইলে তার মুঠোফোন বন্ধ পাওয়া যায়। বিদেশ পালিয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে প্রতারণা ও জালিয়াতি করে সম্পত্তি আত্মসাতের অভিযোগ উল্লেখ করে মামলা দায়ের করা হয়।

আরএস/এসআই

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!