বিএম ডিপোর সার্বিক বিষয় সরাসরি তদারকি করছেন প্রধানমন্ত্রী : ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী

দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. মো. এনামুর রহমান বলেছেন, সীতাকুণ্ডের বিএম কনটেইনার ডিপোতে আগুন ও বিস্ফোরণের ঘটনায় আহতদের সবরকম চিকিৎসা নিশ্চিত করা হবে। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশে আমরা তিন মন্ত্রী ঘটনাস্থলে এসেছি। এখানে যে ঘটনা ঘটেছে তা খুবই দুঃখজনক। আমরা শোকাহত। প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা সরাসরি চিকিৎসাসহ সার্বিক বিষয় তদারকি করছেন।

সোমবার (৬ জুন) দুপুর ৩টায় বিএম কনটেইনার ডিপোর দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।

আরও পড়ুন: ভাটিয়ারীর বিএম ডিপোতে বিস্ফোরণে কেঁপে উঠল ১৫ কিলোমিটার এলাকা—বাড়ছে লাশ

এসময় নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালেদ মাহমুদ, শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী নওফেল ও চট্টগ্রাম-৪ আসনের এমপি দিদারুল আলমসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বর্তন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।

প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান বলেন, এই দুর্ঘটনার কারণে আমরা আন্তর্জাতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত এবং আমাদের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হয়েছে। এখানে কোনো গাফিলতি হয়েছে কিনা তা জানতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। তদন্তে গাফিলতি হলে আমরা জিরো টলারেন্স নীতি মেনে কাজ করব। এছাড়া চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসককে সর্বোচ্চ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে।

দুর্ঘটনায় হতাহতদের বিষয়ে প্রতিমন্ত্রী বলেন, দুর্ঘটনায় ৪১ জনের মরদেহ চিহ্নিত করা হয়েছে। এদের মধ্যে ২৪ জনের পরিচয় সনাক্ত করা গেছে। এর মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের কর্মী ৯ জন। ২২টি মরদেহ হস্তান্তর করা হয়েছে। চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে ৮২ জন, পার্কভিউ হাসপাতালে ১০ জন, মা ও শিশু হাসপাতালে ৪ জন এবং জেনারেল হাসপাতালে ২ জন। ঢাকার শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি হাসপাতালে ১৪ জনকে স্থানান্তর করা হয়েছে। সেনাবাহিনীর হেলিকপ্টারে করে ৭ জনকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেও দুজন আইসিইউতে আছে।

তিনি বলেন, হতাহতদের জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় থেকে এক কোটি টাকা বরাদ্দ দেওয়া হযেছে। নিহতের পরিবার ১ লাখ টাকা ও আহতের পরিবারকে ৫০ হাজার টাকা করে দেওয়ার নির্দেশনা দিয়েছি। একইসাথে শ্রম মন্ত্রণালয় নিহত পরিবারকে ২ লাখ টাকা ও আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে দেবে।

আরও পড়ুন: আগুনের সূত্রপাত নিশ্চিত নন ডিপোর পরিচালক মুজিবুর, হতাহতদের পাশে থাকার ঘোষণা

তিনি আরও বলেন, আহতদের চিকিৎসায় চট্টগ্রাম জেলা প্রশাসককে সর্বোচ্চ ক্ষমতা দেওয়া হয়েছে। তিনি সবরকম চিকিৎসার ব্যবস্থা হয়েছে বলে জানিয়েছেন। কোনো কিছুর অভাব নেই। আগুন নেভানোর কাজে ফায়ার সার্ভিসের ২৫টি ইউনিট কাজ করেছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর ১০ প্লাটুন সদস্য এখানে মোতায়েন করা হয়েছে। একইসাথে স্থানীয় সংসদ সদস্য এখানে সাহসিকতার সঙ্গে কাজ করছেন। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী নির্দেশ দিয়েছেন এখানে সর্বোচ্চ মানবিক সহযোগিতা দিতে হবে।

এর আগে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মো. আসাদুজ্জান খান কামাল। এরপর বিকেল ৫টায় তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ দুর্ঘটনাস্থল পরিদর্শনে আসেন।

এসময় আরও উপস্থিত ছিলেন নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোস্তফা কামাল, সীতাকুণ্ড উপজেলা চেয়ারম্যান এসএম আল মামুন, সীতাকুণ্ড উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. শাহাদাত হোসেন, সহকারী কমিশনার (ভূমি) আশরাফুল আলম, ভাটিয়ারী ইউপি চেয়ারম্যান মো. নাজিম উদ্দিন, উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. নুর উদ্দিন রাশেদ।

সালাউদ্দিন/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!