জুনেই জাতীয় গ্রিডে যুক্ত হবে বাঁশখালীর কয়লা বিদ্যুৎ

বাঁশখালীতে ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে প্রাথমিকভাবে পরীক্ষামূলক বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে। চলতি বছরের জুনে ১২২৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে বলে জানিয়েছেন প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

শনিবার (১৪ জানুয়ারি) বেলা ২টায় উপজেলার গণ্ডামারা এলাকায় স্থাপিত বিদ্যুৎকেন্দ্রে থেকে এ কাজ করা হয়। এদিন কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রকে জাতীয় গ্রিডের ৪ লাখ ভোল্টের সঞ্চালন লাইনের সঙ্গে সংযুক্ত করা হয়।

এসময় উপস্থিত ছিলেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি এবং খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের বিদ্যুৎ বিভাগ, বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড, পিজিসিবি, পরিবেশ অধিদপ্তর, চট্টগ্রাম পোর্ট অথরিটিসহ স্টেক হোল্ডারদের বিভিন্ন স্তরের কর্মকর্তারা।

আরও পড়ুন: বাড়তি সুবিধা নিয়েও অফিস করেন না বাঁশখালীতে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তারা

এ বিষয়ে বাংলাদেশে পাওয়ার গ্রিড কোম্পানির (পিজিসিবি) নির্বাহী প্রকৌশলী মোরশেদ আলম বলেন, বিদ্যুৎ প্রকল্পের ৯৪ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। আজ (শনিবার) জাতীয় গ্রিড থেকে ব্যাকফিড প্রক্রিয়ায় প্রকল্পের প্রতিটি গুরুত্বপূর্ণ যন্ত্রাংশে পরীক্ষামূলক বিদ্যুতায়ন করা হয়েছে। এর মাধ্যমে কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রকে জাতীয় গ্রিডের সঙ্গে সংযোজিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, প্রতিটি যন্ত্রাংশে বিদ্যুতায়নের মাধ্যমে উৎপাদনের সক্ষমতা যাচাই ও নিরীক্ষণ করে উৎপাদনে যেতে আগামী এপ্রিল কিংবা মে মাস পর্যন্ত সময় লাগবে। তবে চুক্তি অনুযায়ী আগামী জুন মাসে উৎপাদিত বিদ্যুতের ১২২৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ জাতীয় গ্রিডে সরবরাহ করা হবে। বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের সঙ্গে বাস্তবায়িত পাওয়ার পারচেজ এগ্রিমেন্ট (পিপিএ) এবং সরকার ও পিজিসিবির সঙ্গে বাস্তবায়িত ইমপ্লিমেন্টেশন এগ্রিমেন্ট ( আইএ) অনুযায়ী নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই বিদ্যুৎ উৎপাদন ও সরবরাহ হবে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, ২৫ হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে বাঁশখালীর ১৩২০ মেগাওয়াট কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণ হচ্ছে। এসএস পাওয়ার ওয়ান লিমিটেড কোম্পানি যৌথভাবে ৭০ শতাংশ এস আলম গ্রুপ এবং চীনের সেপকো থ্রি ৩০ শতাংশ শেয়ার হোল্ডার রয়েছে।

প্রকল্পের প্রধান সমন্বয়কারী মো. ফারুক বলেন, আজ কয়লা বিদ্যুৎকেন্দ্রে পরীক্ষামূলক বিদ্যুতায়ন করতে পেরে আমরা আনন্দিত। বিদ্যুৎ বিভাগ আজ একটি মাইলফলক অতিক্রম করল।

ইউবি/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!