বাঁশখালীর পশ্চিম চাম্বল জলদাসপাড়ায় ভয়াবহ আগুনে ৫২ বাড়ি পুড়ে ছাই হয়ে গেছে।
মঙ্গলবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাত ৩টায় এ ঘটনা ঘটে। তবে কেউ হতাহত হয়নি।
এদিকে আগুনে ঘর-বাড়ি হারিয়ে দেড় শতাধিক শিশু-নারী-পুরুষ চরম ভোগান্তিতে পড়েছে। প্রাথমিকভাবে ক্ষতির পরিমাণ ৪ কোটি টাকা বলে ধারণা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন : রাউজানে রাতের আগুনে ৭০ লাখ টাকার ক্ষতি
আগুনে ক্ষতিগ্রস্তরা হলেন- মৃদুল দাস, বাদল দাস, সমীরণ দাস, সম্পদ দাস, সুকুমার দাস, রাজকুমার, সুধীর দাস, স্বপন দাস, রঞ্জুত দাস, হরি দাস, রতন দাস, পরিতোষ দাস, সাগর দাস , সুরেশ দাস, হরিপদ দাস, গুপ্তধন দাস, মধুরাম দাস, শ্রীনন্দ দাস, সন্দা মোহন দাস, সমীরণ দাস, গোপাল দাস, মতিলাল দাস, রামপ্রসাদ, ভাটিরাম দাস, রাখাল দাস, জদু রাম দাস।
বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত বলে ধারণা করছেন স্থানীয়রা।
স্থানীয় প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, জলদাসপাড়ার মিলন জলদাসের বাড়ি থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। ঘনবসতি হওয়ায় মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে। এতে ৫২ পরিবারের সর্বস্ব পুড়ে ছাই হয়ে যায়। রাতে স্থানীয় বাসিন্দা এবং ফায়ার সার্ভিসের তিনটি ইউনিট দুঘণ্টার চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে।
ক্ষতিগ্রস্ত বিকাশ জলদাস বলেন, গভীর রাতে আগুন লাগায় কোনো কিছুই উদ্ধার করতে পারিনি।
এদিকে আজ বুধবার (৭ সেপ্টেম্বর) সকালে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইদুজ্জামান চৌধুরী ও ওসি মো. কামাল উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে জেলা প্রশাসক মমিনুর রহমান ক্ষতিগ্রস্তদের উদ্দেশ্যে বলেন, দুর্যোগে মনকে দুর্বল করবেন না। সরকার সবসময় মানুষের দুঃখ-দুর্দশার সাথী। আপনাদের সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. সাইদুজ্জামান চৌধুরী জানান, ক্ষতিগ্রস্ত ৫২ পরিবারকে নগদ ৫ হাজার টাকা, ১ বান্ডিল টিন, ৩০ কেজি চাল, ১৬ কেজি শুকনো খাবার, ৫টি কম্বলসহ ত্রিপলের দেওয়া হয়েছে।
স্থানীয় এমপি মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী বলেন, ৫২ পরিবারের শতাধিক লোকজনের জন্য খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। প্রত্যেক পরিবারকে সার্বিক সহযোগিতা করা হবে।
বাঁশখালী থানার ওসি মো. কামাল উদ্দিন বলেন, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে আগুন লাগে। এটি কোনো নাশকতার ঘটনা নয়।
ইউবি/আরবি