‘বন্দুকযুদ্ধ’—র‌্যাবের ওপর হামলাকারী ‘আলম ডাকাত’ নিহত

বাঁশখালীতে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হয়েছেন দুর্ধর্ষ সন্ত্রাসী ও অস্ত্র ব্যবসায়ী মো. আলমগীর ওরফে আলম ডাকাত (৪৫)। র‌্যাবের ওপর হামলার এক মাস না যেতেই তিনি বন্দুকযুদ্ধে নিহত হলেন।

তিনি বাঁশখালীর গণ্ডামারা ইউনিয়নের বড়ঘোনা গ্রামের আলী আহম্মদের ছেলে।

মঙ্গলবার (১২ অক্টোবর) রাত ২টা থেকে আড়াইটা পর্যন্ত গণ্ডামারা ব্রিজের ছড়িরঘোনা এলাকায় র‌্যাবের সঙ্গে সন্ত্রাসীদের বন্দুকযুদ্ধ হয়। পরে বন্দুকযুদ্ধ থামলে বাঁশখালী থানা পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে আলম ডাকাতের লাশ উদ্ধার করে। এ সময় ঘটনাস্থলের আশপাশ থেকে ৪টি আগ্নেয়াস্ত্র ও কিরিচ উদ্ধার করা হয়।

আরও পড়ুন : ‘রক্তাক্ত র‌্যাব’—সন্ত্রাসী ধরতে গিয়ে দা’র কোপ খেল র‌্যাবের ৪ সদস্য

পুলিশ নিহত আলমের লাশ ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। আলমের বিরুদ্ধে খুন, ডাকাতি, অস্ত্র, মাদক, নারী নির্যাতন ও দস্যুতার অভিযোগে বাঁশখালীসহ বিভিন্ন থানায় অন্তত ১৩টি মামলা রয়েছে।

র‌্যাব-৭ ও বাঁশখালী থানা পুলিশ জানায়, শিশুকাল থেকেই আলম ডাকাতের বাম হাত অকেজো। এরপরও অস্ত্র চালনায় তিনি পারদর্শী ছিলেন।

দীর্ঘদিন কারাবাসের পর জামিনে এসে এলাকায় অস্ত্র ও মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েন তিনি। গত ১৯ সেপ্টেম্বর আলম ডাকাতের বাড়িতে মাদক চালানের খবর পেয়ে র‌্যাব অভিযানে যায়। ওই সময় আলম ডাকাত ও তার ছেলে মো. লোকমান হাকিমসহ ৭/৮ জন সন্ত্রাসী র‌্যাবের ওপর গুলি চালায় এবং কিরিচ দিয়ে হামলা করে। সন্ত্রাসীদের দায়ের কোপে র‌্যাবের দুই সদস্য নায়েক ওবায়দুল হক সরকার ও কনস্টেবল মোস্তফা কামাল এবং র‌্যাবের সোর্স মুজিবুর রহমান ও আনোয়ার হোসেন গুরুতর আহত হন। পরে অভিযান চালিয়ে আলম ডাকাতের ছেলে মো. লোকমান হাকিমকে ১টি এলজি ও ১ রাউন্ড কার্তুজসহ গ্রেপ্তার করা হয়।

আরও পড়ুন: ডাবল খুনের পর নিজেও ‘খুন’— র‌্যাব বলছে বন্দুকযুদ্ধে নিহত

বাঁশখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আজিজুল ইসলাম আলোকিত চট্টগ্রামকে বলেন, র‌্যাবের বন্দুকযুদ্ধের পর ঘটনাস্থল থেকে আলম ডাকাতের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। তার লাশের পাশ থেকে আগ্নেয়াস্ত্র ও ধারালো কিরিচ উদ্ধার করা হয়েছে। আলম ডাকাতের বিরুদ্ধে কমপক্ষে ১৩টি মামলা রয়েছে।

উজ্জ্বল/ডিসি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!