ফেসবুকে ‘নগ্ন’ ছবির ভয় দেখিয়ে কিশোরী ধর্ষণ, যুবক আটক

১৪ বছরের সুমাইয়া (ছদ্মনাম)। পড়ে নবম শ্রেণিতে। বাবা ফল ব্যবসায়ী, মা গার্মেন্টসকর্মী। বাসায় একা থাকার সুযোগ নিয়ে জাহাঙ্গীর নামে এক যুবক প্রায়ই তাকে উত্যক্ত করত। কিন্তু সুমাইয়া পাত্তা না দিলে ভিন্ন কৌশলের আশ্রয় নেয় জাহাঙ্গীর।

একদিন সুযোগ বুঝে জাহাঙ্গীর চলে আসে সুমাইয়ার বাসায়। এ সময় সুমাইয়া চিৎকার দেওয়ার চেষ্টা করলে জাহাঙ্গীর তাকে কিছু ছবি দেখায়। সুপার এডিট করা এসব ছবিতে সুমাইয়াকে নগ্ন অবস্থায় উপস্থাপন করা হয়। ছবিগুলো সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে দেওয়ার ভয় দেখিয়ে সুমাইয়াকে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।

এতদিন লোকলজ্জার ভয়ে ঘটনা কাউকেই জানায়নি সুমাইয়া। ঘটনার কিছুদিন পর জাহাঙ্গীরকে আবারও আসতে দেখে দরজায় মরিচের গুঁড়া নিয়ে দাঁড়িয়ে পড়ে। দরজার কাছে আসতেই তার মুখে ছুড়ে মারে। সেদিনের মতো সে রক্ষা পেলেও সুযোগ বুঝে আরও একবার জাহাঙ্গীর আসে। কিন্তু সুমাইয়া একই কায়দায় মরিচের গুঁড়া মেরে নিজেকে আত্মরক্ষা করে। পরে জাহাঙ্গীর নানাভাবে সুমাইয়াকে ঘায়েল করার চেষ্টা করে। কিন্তু এরপর আর শেষ রক্ষা হয়নি তার। ৯৯৯ নম্বরে ফোন করে অভিযোগ জানালে ‘ধর্ষক জাহাঙ্গীরকে’ আটক করে পুলিশ।

সোমবার (১২ জুলাই) রাতে আগ্রাবাদ সিডিএ আবাসিক এলাকা থেকে মো. জাহাঙ্গীর আলমকে গ্রেফতার করে ডবলমুরিং থানা পুলিশ। তার বিরুদ্ধে শিশু ধর্ষণের অভিযোগ মামলা করা হয়েছে।

জাহাঙ্গীর আলম কুমিল্লা জেলার চান্দিনা থানার মহনপুর গ্রামের মো. ওয়াহিদের ছেলে।

ডবলমুরিং থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. মহসীন বলেন, জাহাঙ্গীর আলমের বিরুদ্ধে ভিকটিমের মা বাদি হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেছেন।

আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!