পুলিশ পরিচয়ে পাইপ চুরির চেষ্টা মামলার আসামি বোয়ালখালীর দুসহোদর পাপ্পী ও ববি আবারও মামলার আসামি হয়েছেন। উচ্চ আদালত থেকে চুরির চেষ্টা মামলায় জামিনে বেরিয়ে এলেও ফেসবুকে মানহানিকর পোস্ট করে এবার হলেন ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলায় আসামি।
হাসান বিল্ডার্সের চেয়ারম্যান মো. হাসান সোমবার (১৪ নভেম্বর) চট্টগ্রামের সাইবার ট্রাইব্যুনালে এই মামলা দায়ের করেন। দুসহোদর ছাড়াও আরও দুজনকে মামলার আসামি করা হয়েছে।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- নগরের পাহাড়তলীর আব্দুল আলীনগর এলাকার হাজী শফিউল আলমের ছেলে ও বোয়ালখালী উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি মনসুর আলম পাপ্পী (৫৫) ও তাঁর ভাই মো. আলম ববি (৪৮)। অপর দুজন হলেন- মামুন চৌধুরী ও ওয়াহিদুর রহমান বাদশা।
জানা গেছে, গত ৪ নভেম্বর কালুরঘাট এলাকায় ট্রাক ও ক্রেন নিয়ে এসে একটি সাইট থেকে তিনটি পাইপ চুরির চেষ্টার অভিযোগ ওঠে। এ সময় তারা পুলিশ পরিচয়ে পাইপগুলো চুরির চেষ্টা করে। এরপর কর্মরত শ্রমিকের তথ্যের ভিত্তিতে তিনজনকে আটক করে চান্দগাঁও থানা পুলিশ।
পরদিন ৫ নভেম্বর পাঁচজনকে আসামি করে থানায় চুরির মামলা করা হয়। এই মামলার পাঁচ আসামির মধ্যে অন্যতম ছিলেন মনসুর আলম পাপ্পী ও মো. আলম ববি। মামলার বাকি তিন আসামি হলেন- সীতাকুণ্ডের বাড়বকুণ্ড ইউনিয়নের নতুনপাড়া এলাকার মো. আবুল মনছুরের ছেলে মো. রমজান আলী (৩৭), একই উপজেলার ভাটিয়ারী ইউনিয়নের মাদামবিবিরহাট জাহানাবাদ এলাকার শামছুল আলমের ছেলে মো. কাশেম (৩৬) ও একই এলাকার জসিম উদ্দিনের ছেলে আবছার হোসেন (১৯)।
এ মামলায় পাপ্পী ও ববি হাইকোর্ট থেকে জামিনে বেরিয়ে ফেসবুকে মানহানিকর স্ট্যাটাস দেন। স্ট্যাটাসে মো. হাসানকে ‘ট্যাক্সি ড্রাইভার’, ‘চাঁদাবাজ’ উল্লেখ করেন। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের ঘোষণাও দেন। এমন মানহানিকর স্ট্যাটাসের বিরুদ্ধে হাসান বাদি হয়ে সাইবার ট্রাইব্যুনালে মামলা করেন।
বাদিপক্ষের আইনজীবী আনোয়ার হোসেন আজাদ জানান, পাপ্পি, ববিসহ চারজনের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। আদালত মামলাটি গ্রহণ করে পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশনকে (পিবিআই) তদন্তের দায়িত্ব দিয়েছেন।
এর আগে সাবেক মেরিন কর্মকর্তা ক্যাপ্টেন হাফিজুর রহমানের কাছে থেকে ভাড়ায় নেওয়া ড্রেজার, বাল্কহেড, পাইপ কর্ণফুলী নদীতে ডুবিয়ে রেখে খেয়ানতের চেষ্টা করেন পাপ্পী। আলোকিত চট্টগ্রামে প্রকাশিত সংবাদের পর ও ভুক্তভোগীর দায়ের করা মামলায় আদালতের নির্দেশে পুলিশ অভিযান চালিয়ে এসব সরঞ্জাম উদ্ধার করে ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীকে ফেরত দেন।
পাপ্পী একাধিক মামলার আসামি বলে পুলিশ জানান।
আরএস/আলোকিত চট্টগ্রাম