ফাহাদকে চিনে ফেলায় খুন হন ইউপি সদস্য আবুল কাশেম

মিরসরাইয়ের সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কাশেম খুনের মামলায় জড়িত চারজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

সোমবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে এবং মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) রাতে বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন- শাহেরখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য আবুল কাশেম হত্যা মামলায় মো. ফাহাদ হোসেন (২০), মো. সিরাজুল ইসলাম (৫৫), নজরুল ইসলাম (৩০) ও মীর হোসেন (২০) ।

আরও পড়ুন: বিলে রগকাটা নারীর লাশ—খুনির মুখে পরকীয়া ও টাকার কথা

এদিকে আজ (বুধবার) চার আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পুলিশ।

পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে গ্রেপ্তার ফাহাদ ও মীর হোসেন ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে।

পুলিশ জানায়, গত ২৬ জানুয়ারি সন্ধ্যার পর ছিনতাইয়ের উদ্দেশ্যে স্থানীয় শাহেরখালী খালের পাশে ওঁত পেতে ছিল এজাহারভুক্ত আসামি মো. ফাহাদ হোসেন ও মীর হোসেন। তারা সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ একটি কাঁচি দিয়ে প্রথমে আঘাত করে সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কাশেমের মাথায়। আবুল কাশেম ফাহাদকে চিনে ফেললে দুজন ধরে খালের পাশে কাদায় নিয়ে তার পেটের ভেতর সজোরে কাঁচিটি ঢুকিয়ে দেয়। পরে মৃত্যু নিশ্চিত করতে একাধিকবার আঘাত করে। শেষে মৃত্যু নিশ্চিত হয়েছে জেনে খালের পাশে কাদার মধ্যে তাকে ফেলে চলে যায়।

এ বিষয়ে মিরসরাই থানার সেকেন্ড অফিসার (উপ-পরিদর্শক) রাজিব পোদ্দার জানান, শাহেরখালী ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক সদস্য আবুল কাশেম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার ৪ আসামিকে আজ (বুধবার) আদালতে পাঠানো হয়েছে।

আরও পড়ুন: খুন করে অপমৃত্যুর প্রচার—রিমান্ডে ২ আসামি

প্রসঙ্গত, গত ২৬ জানুয়ারি রাত ১০টায় উপজেলার শাহেরখালী খালের কাদামাটি থেকে ছুরিকাহত অবস্থায় সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কাশেমের রক্তাক্ত দেহ উদ্ধার করে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।

এরপর গত ৩১ জানুয়ারি (সোমবার) আবুল কাশেমের স্ত্রী বাদি হয়ে মিরসরাই থানায় মামলা দায়ের করেন। পরদিন মঙ্গলবার (১ ফেব্রুয়ারি) ভোরবেলা চমেকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আবুল কাশেম মারা যান।

আজিজ/আরবি

যখনই ঘটনা, তখনই আপডেট পেতে, গ্রাহক হয়ে যান এখনই!